নিজে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ইচ্ছাকৃতভাবে সহকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাইরাসের বিস্তার ছড়ানোর অভিযোগে স্পেনের ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ মেয়োর্কার এক ব্যক্তি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। রোববারের প্রতিবেদনে খবরটি জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছেন, এমন প্রমাণও রয়েছে। মেয়োর্কার বাসিন্দা চল্লিশ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রা ও কাঁশি নিয়েই তার কর্মস্থল আর শরীরচর্চা কেন্দ্রে গিয়েছিলেন।   

অভিযোগ, শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই ওই ব্যক্তি কর্মস্থলে যান। সেখানে গিয়ে মাস্ক খুলে চারপাশে হাঁটাহাঁটি করেন। শুধু এখানেই শেষ নয়, কর্মস্থলে কাঁশি দিয়ে চারপাশে হাঁটতে হাঁটতে তিনি সহকর্মীদের উদ্দেশে বলেন যে, তিনি তাদের সংক্রমিত করতে চলেছেন।

আর এমন ঘটনার পরই তার পাঁচজন সহকর্মী এবং শরীরচর্চা কেন্দ্রে যাওয়া আরও তিনজনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এই সংক্রমিতদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ১৪ জনও সংক্রমিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন ছিল এক বছর বয়সী শিশু।

স্থানীয় সময় শনিবার স্প্যানিশ পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই ব্যক্তির দেহে উপসর্গ ছিল। কিন্তু তিনি শহরে কর্মস্থল ছেড়ে বাড়িতে যেতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছিলেন। একদিন সন্ধ্যায় পিসিআর টেস্ট দিয়ে কাজে তারপর শরীরচর্চা কেন্দ্রে যান তিনি।   

পুলিশ ওই বিবৃতিতে বলেছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে তার সহকর্মীরা বাড়ি যেতে বললেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। তারপর তিনি মুখ থেকে মাস্ক নামিয়ে কাঁশি দেন আর বলেন, ‘আমি তোমাদের সবাইকে করোনাভাইরাসে সক্রমিত করতে চলেছি।’ 

গত জানুয়ারির শেষদিকে এই অভিযোগের তদন্ত করে আসা পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসার পর তার সহকর্মীদের সতর্ক করা হয়েছিল। তবে তার থেকে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের কেউ গুরুতর অসুস্থ হননি।

এএস