এ বার, ২০০ পার। এমন স্লোগান বেঁধে দিয়েছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি শিবিরের সেনাপতি অমিত শাহ। অন্যদিকে পঞ্চম দফার ভোটের পর থেকেই সরকার গঠনের মতো আসন বিজেপি অর্জন করেছে বলে দাবি করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রচারে কিংবা সাংবাদিক সম্মেলনে একটাই দাবি করে এসেছেন যে, ‘উনিশে হাফ, একুশে সাফ’।

কিন্তু অষ্টম তথা নির্বাচনের শেষ দফা ভোটের পরপরই গত বৃহস্পতিবার একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষা বলেছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে থাকলেও সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার থেকে দূরেই থাকবে বিজেপি। কোনো কোনো সমীক্ষা বিজেপিকে সরকার গঠনের মতো আশা দেখালেও দলটি যে ২০০টি আসন পাবে বা তার আশেপাশে থাকারও ইঙ্গিত দেয়নি কেউ। বিজেপির কোনো নেতা স্বীকার করতে না চাইলেও এটা ঠিক যে, বুথ ফেরত সমীক্ষা মোদি-অমিত শাহের দলটির আত্মবিশ্বাসে অনেকটাই ধাক্কা দিয়েছে।

যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘সমীক্ষা যারা করেছেন তার থেকে বেশি মানুষের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। রাজ্যের সব বিধানসভা এলাকায় গত দু’মাসের মধ্যে গিয়েছি। বাস্তব পরিস্থিতি কিন্তু অন্য কথাই বলছে। আর আসল কথা এক্সিট পোল বলে না, এক্সাক্ট পোল বলে। সেটা দেখিয়ে দেবে আমরা যেমন বলেছি তেমন ফল হবে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ব আমরা।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে মাত্র ৩টি আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৮ আসনের জয়ের সুবাদে বিধানসভা এলাকা অনুযায়ী ১২১টিতে এগিয়ে ছিল দলটি। সেই জায়গা থেকেই রাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে বিজেপি।

অবশ্য বিজেপির নেতাদের অনেকেই স্বীকার করেছেন যে, কর্মী, সমর্থকদের আত্মবিশ্বাস একটু হলেও দুর্বল করে দিয়েছে বুথফেরত সমীক্ষা। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলছেন, ‘এতে আর কী আসে যায়! সকলেই নিজের নিজের কাজ করেছেন। গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই আবার ফিরে আসবে আত্মবিশ্বাস।’

টিএম