মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার ভূপাতিত
মিয়ানমার সেনা বাহিনীর একটি সামরিক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে দেশটির অন্যতম বিদ্রোহী দল কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ)। সোমবার সকালে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কাচিনের মোমাউক শহরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী নিউজকে নিশ্চিত করেছে কেআইএ।
ইরাবতী নিউজকে কেআইএর তথ্য কর্মকর্তা কর্নেল নাও বু জানান, সোমবার সকালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী মোমাউকে বিমান হামলা শুরু করলে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করে কেআইএ। এ সময়েই কেআইএ সেনাদের গোলায় ভূপাতিত হয় হেলিকপ্টারটি।
বিজ্ঞাপন
নাও বু বলেন, ‘মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও দু’টি যুদ্ধবিমান সোমবার সকাল থেকে মোমাউকে বিমান হামলা শুরু করেছিল। সকাল ১০ টা ২০ মিনিটের দিকে কেআইএ সেনারা হেলিকপ্টারটি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। হেলিকপ্টারটির পরিণতি দেখে যুদ্ধবিমানগুলো পরে পিছু হটে যায়।’
মোমউকের স্থানীয় একজন বাসিন্দা ইরাবতী নিউজকে বলেন, ‘হেলিকপ্টারটির লেজের দিকের পাখায় গোলার আঘাত লেগেছিল। তারপর সেটি কংলাউ গ্রামের দিকে ভূপাতিত হয়। সোমবার ভোরে আমাদের ঘুম ভেঙেছে গুলি ও গোলার শব্দে। এখনার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি।’
গত ১১ এপ্রিল থেকে কাচিন রাজ্যে কেআইএ এবং মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সংঘাত শুরু হয়। ওই দিন মোমাউকে কেআইএর সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা করেছিল সামরিক বাহনী।
বিজ্ঞাপন
এর জবাবে ২৯ এপ্রিল দুপুরে মোমাউকের ভামো বিমানবন্দরে হামলা করে এর ক্ষয়ক্ষতি করে কেআইএ। এই বিমানবন্দরটি মিয়ানমারের বিমানবাহিনী ব্যবহার করে থাকে।
মোমাউক শহরটির অবস্থান কাচিন প্রদেশের আলাউ বাম পাহাড়ের পাদদেশে, চীনের সীমান্তঘেঁষা এলাকায়। পাহাড়টির একপাশে মিয়ানমার, অন্যপাশে চীন। কেআইএর সদর দফতরও ওই পাহাড় সংলগ্ন এলাকায়।
মিয়ানমার সেনবাহিনী বহুদিন থেকেই মোমাউক শহর ও আলাউ বাম পাহাড় সংলগ্ন এলাকা দখলের চেষ্টা করছে। মিয়ানমার সেনা কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, যদি ওই এলাকা দখলে আসে, সেক্ষেত্রে সীমান্ত এলাকায় নজরদারির পাশাপাশি কাচিন প্রদেশের বিশাল এলাকা নিজেদের দখলে আনা সম্ভব হবে।
ইরাবতী নিউজ জানিয়েছে, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গত প্রায় মাস ব্যাপী চলমান এই সংঘাতে মোমাউকের আশপাশের ১০ টি গ্রামের ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সূত্র: ইরাবতী নিউজ
এসএমডব্লিউ