সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বিগত মার্কিন নির্বাচনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল আজ বুধবার ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল করেছে। 

সাময়িকভাবে তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ রেখে তা আবার চালু করা হবে কি না তা মূল্যায়ন করার জন্যই ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড আজ বৈঠকে বসেছিল। সেই বৈঠক থেকে তারা ট্রাম্পের ওপর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহালের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। 

মার্কিন কংগ্রেস ক্যাপিটল হিলে তার সমর্থকরা হামলা চালানোর পর টুইটার স্থায়ীভাবে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও এটা ‘বহাল’ থাকবে। ওই সময় তার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়।  

ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড কী বলছে

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার পর কোনো রাষ্ট্রনেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য ফেসবুকের ২০ সদস্যের ওভারসাইট বোর্ডে যায়। এই ওভারসাইট বোর্ড ‘ফেসবুকের সুপ্রিম কোর্ট’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী ট্রাম্পের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা এখনই প্রত্যহার করার বিপক্ষে অবস্থা নিলেও ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড সাধারণভাবে এর জন্য বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিধি ছাড়িয়ে ফেসবুকের এমন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে।

ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড বলেছে যে, ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্তটি ‘অনির্দিষ্ট ও মানহীন’ এবং এর বিরুদ্ধে সঠিক প্রতিক্রিয়া ‘ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের অন্যান্য ব্যবহারকারীদের জন্য প্রয়োগ করা বিধিগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।’

আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলে জানিয়েছে ওভারসাইট বোর্ড। আজ বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের কো-চেয়ার হেলে থরনিং স্বীকার করেছেন, ‌‌‘আমাদের কাছে এর খুব সহজ উত্তর নেই।’ 

বোর্ডের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে নীতি লঙ্ঘনের দায়ে সাধারণ মানুষের জন্য যে নিয়ম প্রযোজ্য হয় এক্ষেত্রেও একই অবস্থান থেকে বিষয়টি নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

এএস