ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলে ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন ভারতীয় নারীও রয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ মে) রাতে চালানো রকেট হামলায় ইসরায়েলের লোদ শহরে দুইজন নিহত হলে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬ জনে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ফের ইসরায়েল অভিমুখে রকেট হামলা চালায় হামাস। এসব রকেটের কয়েকটি ইসরায়েলি শহর লোদে আঘাত করলে দুই ব্যক্তি নিহত হন। শহরটি আল-লিদ নামেও পরিচিত বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

কয়েকটি সংবাদে বলা হয়েছে, লোদ শহরে রকেট হামলায় নিহত ওই দুই ব্যক্তি হলেন— শহরের স্থানীয় এক নারী ও তার সাত বছর বয়সী শিশু সন্তান।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এর মাধ্যমে গত তিন দিনে হামাসের রকেট হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। এদিকে রকেট হামলার পর লোদ শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরায়েল।

হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি… গাজার আবাসিক এলাকায় শত্রুর হামলার জবাবে আমরা তেল আবিব ও এর আশপাশে ১৩০টি রকেট দিয়ে এ যাবতকালের বৃহত্তম হামলা চালিয়েছি।’

হামাস বলেছে, তারা মাত্র ৫ মিনিটে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় আশকেলন শহর ও বন্দরনগরী এশদুদে ১৩৭টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। সংগঠনটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইসরায়েল তার আগ্রাসন বন্ধ না করলে দেশটির জন্য আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছে।

এদিকে হামাসের রকেট হামলায় ভারতীয় এক নারী নিহত হয়েছেন। তিনি কাজের সূত্রে ইসরায়েলে বসবাস করতেন। নিহত ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআই।

৩১ বছর বয়সী নিহত ওই নারীর নাম সৌম্য। তিনি ইসরায়েলের আশকেলন শহরে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার স্বামীর সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলার সময় হামাসের ছোঁড়া রকেট তার বাড়িতে আঘাত হানে এবং ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

নিহত সৌম্যর বাড়ি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায়। গত সাত বছর ধরে তিনি ইসরায়েলের একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

টিএম