ভারতের কর্নাটক ও গোয়ায় আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় তওকত। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কর্নাটকের তিন উপকূলীয় জেলাসহ ছয় জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে। ঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের ৭৩ গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ যেভাবে

যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়, তার অববাহিকার দেশগুলোই সংশ্লিষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে। সেই নামের তালিকা পাঠানো হয় ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের কাছে। বর্তমানে সংগঠনটির সদস্য-বাংলাদেশ, ভারত, মিয়াননমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ ১৩টি দেশ। 

তওকত নামটি মিয়ানমারের দেওয়া। মিয়ানমারের শব্দ ‘গেকো’ থেকেই এসেছে এসেছে এ নামটি। গেকো হচ্ছে উচ্চস্বর যুক্ত টিকটিকি জাতীয় প্রাণী। নামকরণের সময়ে মনে রাখা হয়, যেন নামটি সহজ, গ্রহণযোগ্য এবং স্থানীয়দের বোধগম্য হয়।  

স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তওকত। বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘূর্ণিঝড় তওকতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে কেরালার ৯ জেলায়। দিল্লির আবহাওয়া ভবন জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ গুজরাটের পোরবন্দর ও নালিয়ায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়।

আরএইচ