ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জয়ের দাবি হামাসের
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিজেদের জয় দাবি করেছে। একই সঙ্গে সংগঠনটি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরাজিত হিসেবে অভিহিত করেছে।
গত ৯ মে থেকে ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ আগ্রাসন চালাচ্ছে। তবে গাজাভিত্তিক প্রতিরোধকামী সংগঠন হামাস এবং ইসলামি জিহাদ আন্দোলন ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক হাজার রকেট ছুঁড়েছে।
বিজ্ঞাপন
হামাসের উপপ্রধান মুসা আবু মারজুক বলেছেন, নেতানিয়াহু মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়েছেন এবং হামাস বিজয় ঘোষণা করছে।
তিনি বলেন, আগামী এক বা দুই দিনের মধ্যে আমরা একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর আশা করছি। মুসা আবু মারজুকের মতে, হামাস এবং জিহাদ আন্দোলনের পাল্টা জবাবের মুখে আমেরিকা হামলা কমানোর জন্য ইসরায়েলি নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
বিজ্ঞাপন
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে সংঘাত বন্ধে শুক্রবারেই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যেতে পারে ইসরায়েল সেনাবাহিনী ও গাজার প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে হামাস নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন মিসরের সরকারি কর্মকর্তারা। এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য— হামাসকে রকেট হামলা থেকে বিরত রেখে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে নিয়ে আসা।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীও সংঘাত থামাতে চাইছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যেভাবে প্রক্রিয়া এগোচ্ছে, তাতে আমরা ধারণা করছি, উভয়পক্ষের যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। খুব শিগগিরই…হয়তো শুক্রবারই উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে।’
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, গাজার কট্টর ইসলামপন্থি জঙ্গি সংগঠন প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ হামাস-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠার সুযোগ খুঁজছে। তারা যদি সক্রিয় হয়, সেক্ষেত্রে ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা সত্যিকার অর্থেই হুমকির মুখে পড়বে।’
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে সেখানকার প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যকার সংঘাত গড়িয়েছে দশম দিনে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিমান হামলা ও গোলা বর্ষণে ইতোমধ্যে গাজায় নিহত হয়েছেন ২৩০ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ৬৪ জন শিশু ও ৩৪ জন নারী আছেন।
এসএস