করোনাভাইরাস টিকার উদ্ভাবক মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার ভারতকে জানিয়েছে, তাদের তৈরি টিকা ১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী প্রত্যেককে দেওয়া যাবে এবং এক মাসের জন্য টিকাটি সংরক্ষণ করা যাবে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়ে বলছে, জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি ফাইজার টিকাই একমাত্র টিকা যা কয়েকটি দেশে শিশুদের জন্যও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত ১৪ মে ১২-১৫ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রদান শুরু করেছে। কানাডা ৫ মে শিশুদের জন্য এই টিকার অনুমোদন দেয়। ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) শিশুদের জন্য টিকাটি ব্যবহারের মূল্যায়ন করছে।

প্রথমদিকে বলা হয়েছিল, ফাইজারের টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। ফলে গ্রীষ্মপ্রধান বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হয়েছিল।

তবে ফাইজার এখন বলছে, টিকাটি মাইনাস ২৫ ডিগ্রি, এমনকি এক মাসের জন্য ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও সংরক্ষণ করা যাবে।

পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস জানায়, ফাইজার চার মাসের মধ্যে ভারতকে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা দিতে রাজি হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই মাসে এক কোটি, আগস্টে এক কোটি, সেপ্টেম্বরে দুই কোটি ও অক্টোবরে এক কোটি টিকা প্রদান করবে।

ফাইজার ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে এবং তাদের কাছ থেকে সরাসরি অর্থ গ্রহণে সম্মত হয়েছে। এর আগে ফাইজার এবং মডার্না বিভিন্ন দেশে সরাসরি টিকা বিক্রি করতে অস্বীকার করেছিল।

বাংলাদেশে ফাইজার টিকার অনুমোদন

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য বেলজিয়ামে উৎপাদিত ফাইজারের টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে দেশে চারটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হলো। গত ২৪ মে ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ফাইজারের টিকা অনুমোদন দেয়। অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

ফাইজারের টিকা ১২ এবং তদূর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। টিকাটি দুই ডোজের। প্রথম ডোজ নেওয়ার ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।

এএস