মিয়ানমারের আয়েইরাবতি নদীর তীরবর্তী ব-দ্বীপ অঞ্চলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার সকালের দিকে আয়েইরাবতি নদী এলাকায় এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন। 

আয়েইরাবতি নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটির উত্তর ও পূর্বাঞ্চলেও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। 

মিয়ানমারের নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে দেশটির গণতন্ত্রকামী সাধারণ জনগণের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে সেনাবাহিনী। দেশটির বিভিন্ন শহরে প্রত্যেকদিন জান্তা-বিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিক্ষোভ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৮৪৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। 

গণতন্ত্রকামীদের ধর্মঘট, বিক্ষোভে সমর্থন দিয়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে দেশটির জাতিগত সশস্ত্র বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। 

শনিবার আয়েইরাবতি অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়েছে; যে অঞ্চলটি চাল উৎপাদনের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলে জাতিগত সংখ্যাগরিষ্ঠ বামার জনগোষ্ঠী ও কারেন সংখ্যালঘুদের আবাস। মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে বামারদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, শনিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই ইয়াঙ্গুন থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিওনপিয়াও শহরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। অস্ত্র মজুদের অভিযোগে সেখানকার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করতে এলে সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিরদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্থানীয়রা। পরে সেখানে একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

তিনি বলেছেন, গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে শুধুমাত্র তীর-ধনুক রয়েছে। সাধারণ গ্রামবাসীদের অনেকেই হতাহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর ভয়ে নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এই ব্যক্তি। খিট থিট মিডিয়া এবং বিবিসি বার্মিজ বলছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। 

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস