১৪ দিনের লকডাউন আরোপের পর থেকে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে মালয়েশিয়ায়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে টানা তিন দিন ধরে ক্রমশ নিম্নমূখী হচ্ছে দৈনিক করোনা সংক্রমণের রেখচিত্র।

রোববার দেশটির স্বাস্থ দফতরের মহাপরিচালক ডা. নূর হিশাম আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ায় করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৭৪৮ জন। শুক্রবার এই সংখ্যা নেমে আসে ৭ হাজার ৪৫২ জনে।

সর্বশেষ শনিবার দেশটিতে করোনা আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ২৪১ জন। নূর হিশাম আব্দুল্লাহ জানান, মালয়েশিয়ায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ১৬ হাজার ৮১৫ জন।

ডা. আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, শনিবার নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল সেলানগোর প্রদেশে। এই প্রদেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৭৮ জন। সেলেনগোরের পরই আছে যথাক্রমে সারাওয়াক (নতুন আক্রান্ত ৬০০), জহর (নতুন আক্রান্ত ৫৬৫) এবং নেগ্রি সেমবিলান প্রদেশ (নতুন আক্রান্ত ৫৫৬)।

রাজধানী কুয়ালালামপুরে শনিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৫ জন। এছাড়া সাবাহ প্রদেশে এদিন ৩০৫ জন, কেলানতানে ২৭০ জন, মেলাকা প্রদেশে ২২৫ জন, তেরেঙ্গানু প্রদেশে ১৫৮ জন, পাহাং প্রদেশে ১৫৫ জন এবং কেদাহ প্রদেশে ১২৫ জন নতুন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

বর্তমানে মালয়েশিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৮৫ হাজার ৬০৭ জন। আর এ রোগে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ২৯১ জন।

সম্প্রতি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকায় গত ১ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দেশজুড়ে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন লকডাউনের ঘোষণায় বলেছিলেন, ‘সম্প্রতি দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে দেশজুড়ে কোভিড হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যসেবার সক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ছে; যা ভীষণ উদ্বেগের বিষয়।’

এদিকে, লকডাউনের মধ্যে মালয়েশিয়ায় করোনা টিকাদান কর্মসূচিও গতি পেয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আদহাম বাবা জানিয়েছেন, লকডাউনের আগে যেখানে টিকা নেওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের মতো, সেখানে বর্তমানে এই সংখ্যা পৌঁছেছে ২৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৫ জনে।

সূত্র: দি নিউ স্ট্রেইট টাইমস, দি স্টার

এসএমডব্লিউ