আসন্ন আগস্ট মাস থেকেই ভারতের বাজারে আসতে চলেছে নতুন আরও একটি টিকা। নতুন এই টিকার নাম কোর্বেভ্যাক্স। ইতোমধ্যেই এই টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। ভারতের বাজারে বিদ্যমান টিকাগুলোর ভেতরে কোর্বেভ্যাক্স টিকাই মানুষ সবচেয়ে কম দামে কিনতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তবে বছরের প্রায় অর্ধেক শেষ হলেও টিকা প্রয়োগের কাজে দেশটিতে অগ্রগতি হয়েছে সামান্যই। বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে প্রয়োজন আরও টিকা। আর তাই গতি বাড়াতে আরও কয়েকটি টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পথে রয়েছে মোদি সরকার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নতুন কয়েকটি টিকাকে দ্রুতই ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ভাবছে নয়াদিল্লি। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। তার মধ্যে অন্যতম বায়োলজিক্যাল-ই সংস্থার তৈরি কোর্বেভ্যাক্স। ভারতে ব্যবহার হওয়া টিকাগুলোর মধ্যে এই টিকা সবচেয়ে সস্তা হতে পারে।

আপাতত সম্পন্ন হওয়া কোর্বেভ্যাক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফলে সন্তুষ্ট ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। যার কারণে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতিও পেয়েছে এই টিকা।

তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সফল ভাবে সম্পন্ন হলে আগামী আগস্ট মাস থেকে টিকাটির উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৩০ কোটি কোর্বেভ্যাক্স টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তার জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা দিতে পারে মোদি সরকার।

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের মতো কোর্বেভ্যাক্সেরও দু’টি টিকা নিতে হবে। উৎপাদনের পরে বাজারে কোর্বেভ্যাক্সের দু’টি টিকার দাম হতে পারে ভারতীয় মুদ্রায় ৪০০ রুপিরও কম।

অন্যদিকে কোভিশিল্ডের একটি টিকারই দাম ৩০০ থেকে ৪০০ রুপি। এছাড়া রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-৫ টিকার দাম প্রায় এক হাজার রুপি। সেই তুলনায় কোর্বেভ্যাক্স টিকার দাম বেশ অনেকটাই কম।

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলেও জনসংখ্যার নিরিখে প্রথম পাঁচ মাসে মাত্র ৩ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ফলে দেশের সকল মানুষকে টিকা দিতে দেশটির দরকার বিপুল পরিমাণ টিকার।

টিএম