করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে আক্রান্ত হতে পারে অনেক শিশু। এই আশঙ্কা থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিশুদের করোনা চিকিৎসার গাইডলাইন জারি করেছে। 

‘কম্প্রিহেনসিভ গাইডলাইনস ফর ম্যানেজমেন্ট অব কোভিড-১৯ ইন চিলড্রেন’ শীর্ষক ওই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কোনোভাবেই শিশুদের করোনা চিকিৎসায় রেমডিসিভির ব্যবহার করা যাবে না। ঝুঁকি রয়েছে এমন শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে একমাত্র স্টেরয়েড ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন চিকিৎসকরা।

গাইডলাইনে লেখা হয়েছে, ‘আপৎকালীন ভিত্তিতে ব্যবহার্য ওষুধ রেমডিসিভির শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তার কারণ, যাদের বয়স ১৮ বছরের কম তাদের ক্ষেত্রে রেমডিসিভির কতটা কার্যকর, কতটা নিরাপদ তার কোনো সুস্পষ্ট তথ্য নেই। কোনো শিশু-কিশোর করোনায় আক্রান্ত হলে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন থেরাপি শুরু করতে হবে। তার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে দিতে হবে পর্যাপ্ত ইলেক্ট্রোলাইট এবং ফ্লুইড। প্রয়োজন অনুযায়ী কর্টিকোস্টেরয়েড থেরাপি শুরু করা যাবে।’ 

বলে হয়েছে, ‘যেহেতু স্টেরয়েড উপসর্গ নেই বা মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন করোনা রোগীর জন্য অতি বিপজ্জনক, তাই একমাত্র হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ শিশুর ক্ষেত্রেই স্টেরয়েড প্রযোজ্য। চিকিৎসকের কড়া পর্যবেক্ষণের ওপর ছাড়া হচ্ছে বিষয়টি।’ 

গাইডলাইন অনুযায়ী, ‘ছয় মিনিট হাঁটা পরীক্ষার’ মাধ্যমে শিশুর অবস্থা বুঝতে হবে। তবে যেসব শিশুর শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের জন্য এই টেস্ট প্রযোজ্য নয়।

৬ মিনিট হাঁটাহাঁটির সময় শিশুর অক্সিজেন স্যাচুরেশন যদি ৯৪ থেকে নেমে যায় অথবা শিশু যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা বোধ করে, এক ধাক্কায় যদি স্যাচুরেশন ৩ থেকে ৫ শতাংশ নেমে যায় তাহলেই বুঝতে হবে শিশুটির হাইপক্সিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে।

এইচকে