করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত ভারতকে ফের স্বাভাবিক রূপে ফেরাতে প্রযোজন পর্যাপ্ত পরিমাণে কোভিড-১৯ টিকা। সম্প্রতি ভারতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ করা টিকার পরিমাণ ছিল প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। তবে সেটাই শেষ কথা নয়। চলতি বছরের শেষে ভারত হাতে পাবে ফাইজারের ৫০ কোটি ডোজ টিকা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সান্ধু।

করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনের (বি.১.৬১৭) বিরুদ্ধে ‘দারুণ কার্যকর’ ফাইজারের তৈরি টিকা। মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সম্প্রতি ভারত সরকারকে এ কথাই জানিয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরনই বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টই ভারতে মহামারির এতোটা অবনতির জন্য দায়ী বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মার্কিন সংস্থা ফাইজার ভারতের কেন্দ্রীয সরকারকে জানিয়েছে- ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে দেওয়ার জন্য তাদের তৈরি টিকা উপযুক্ত। এটি ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রায় এক মাস সংরক্ষণ করা সম্ভব বলেও জানানো হয়েছে।

এবার সেই টিকা অল্প মূল্যে ভারতে পাঠানোর সব রকম ব্যবস্থা বাইডেন প্রশাসন করতে চলেছে বলে দাবি ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সান্ধুর। তার ভাষায়, ‘ফাইজারের ৫০ কোটি ডোজ ভারতের জন্য আসছে। যার মধ্যে চলতি শেষের দিকে ২০ কোটি এবং আগামী বছরের শুরুতেই ৩০ কোটি ডোজ হাতে পাবে ভারত।’

অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দাবি অনুযায়ী, আগামী বছরের শুরুতে কেবল ফাইজারের ভ্যাকসিন দিয়েই ভারতের ২৫ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব।

এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয সরকারের নীতি নির্ধারণী থিংক-ট্যাংক নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পাল জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতের জন্য আনুমানিক ২১৬ কোটি ডোজ টিকা তৈরি হওয়ার কথা। তার মধ্যে ৫৫ কোটি কোভ্যাক্সিন এবং ৭৫ কোটি কোভিশিল্ড থাকবে বলেই জানানো হয়েছিল।

সেই সঙ্গে ক্যাডিলার ৫ কোটি, বায়োলজিক্যাল ই-র ৩০ কোটি, স্পুটনিকের প্রায় ১৬ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা সম্পর্কে পাল জানিয়েছিলেন, এই সংস্থাগুলোর সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জৈব রসায়ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে ভারত।

টিএম