ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া না হলেও ‘কোডিং’র প্রতি ভালোবাসা বিন্দুমাত্র কমেনি ২০ বছরের অদিতির। তাই নিজে নিজে কোডিং শিখে শুরু করেন এথিকাল হ্যাকিংয়ের কাজ। তার জেরেই এখন মাইক্রোসফটের কাছ থেকে বড় অঙ্কের উপহার পাচ্ছেন তিনি।

মাইক্রোসফটের অ্যাজার ক্লাউড সেবার ক্লাউড রিমোট কোড একজিকিউশন (আরসিই) বাগ খুঁজে পান অদিতি সিং। এর বিষয়ে বিশদে প্রকাশ করা হয়নি। তবে এটির ফলে যে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, সে বিষয়ে মাইক্রোসফটকে অবহিত করেছেন তিনি।

এর আগে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে অ্যাজার ক্লাউড প্লাটফর্মের এ জাতীয় বাগ খুঁজে পেলে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ভুল ধরিয়ে দিয়ে ৩০ হাজার ডলার পাচ্ছেন অদিতি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৫ লাখ টাকার বেশি।

ভারতীয় তরুণী অদিতি সিং বলছেন, ক্লাস টেনের পর জয়েন্টের প্রস্তুতি নিতে রাজস্থানের কোটা যান। সেখানে থেকে কোচিংয়ে ভর্তি হয়ে মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকার প্রস্তুতি শুরু করেন। তবে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেননি।

অদিতি জানান, তাতে পেরে উঠবেন না, আগেই বুঝতে পেরেছিলেন। শখের বশে কোডিং শুরু করেন। ধীরে ধীরে প্রস্তুতি বন্ধ হয়। পুরোপুরি ডুবে যান কোডিংয়ের জগতে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ইউটিউব ও বই দেখে নিজেই কোডিং শিখতে থাকেন।

ক্লাস টুয়েলভের পর বিসিএ-তে ভর্তি হন। সেখানে পড়ার সময় ‌‌‘ম্যাপমাইইন্ডিয়া’র সিকিউরিটি গলদ খুঁজে পান অদিতি। সেটা সংস্থাকে জানান তিনি। এরপর সেই সংস্থা থেকে অদিতিকে সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট হিসেবে চাকরি দেওয়া হয়।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী অদিতি সিং আরও জানান, কোডিং শেখার জন্য আগ্রহই যথেষ্ট। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেই হবে এমন কোনও কথা নেই। সুযোগ না পেলে একটা সার্টিফিকেট কোর্স করে নেওয়া যেতে পারে।

এএস