দুই সপ্তাহের বেশি সময় আগে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগকারী স্টেফান লোফভেন আবারও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে নতুন সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

সুইডিশ সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা স্টেফান লোফভেন গত ২১ জুন দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোরে হেরে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন। সুইডেনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনও প্রধানমন্ত্রী সংসদের ভোটাভুটিতে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন সেই সময়।

নবনির্মিত ভবনের ভাড়া কমানোর পরিকল্পনা ঘিরে ক্ষমতাসীন মধ্য-বামপন্থী সরকারের ওপর থেকে লেফট পার্টি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর জাতীয়তাবাদী সুইডিশ ডেমোক্র্যাটরা পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের ডাক দেন। পরে গত ২১ জুন পার্লামেন্টে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।

ওইদিন পার্লামেন্টের ৩৪৯ আইনপ্রণেতার মধ্যে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ১৭৫ ভোটের দরকার হলেও মোট ১৮১ জন স্টেফান নেতৃত্বাধীন সরকারের বিপক্ষে ভোট দেন। ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন ৫১ জন।

পরে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পরিবর্তে নতুন সরকার গঠনের জন্য জোট গঠনের আলোচনা শুরু করেন লোফভেন। দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর জোট গঠনের আলোচনা তত্ত্বাবধান করেন সুইডেনের সংসদের স্পিকার আন্দ্রিয়াস নরলেন। অন্যান্য দলগুলো সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় স্বপদে ফেরার ডাক পান লোফভেন।

গত মাসে পদত্যাগকারী লোফভেনকে সরকারি বাজেট পাসের জন্য এখনও পর্যাপ্তসংখ্যক সংসদ সদস্যের সমর্থনের দরকার হবে। তবে তিনি বলেছেন, পার্লামেন্টে আগামী শরৎকালীন অধিবেশনে যদি বাজেট পাসের জন্য যথেষ্ট সমর্থন না পান তাহলে আবারও পদত্যাগ করবেন তিনি।

২০১৮ সালে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পর গ্রিন পার্টির সাথে আরও দুটি ছোট মধ্য-ডানপন্থী দল এবং লেফট পার্টির সমর্থন নিয়ে নড়বড়ে জোট গঠন করে সরকারে আসেন ৬৩ বছর বয়সী লোফভেন। তবে আবাসিক ভবনের ভাড়া হ্রাসের পরিকল্পনা ঘিরে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে; সেজন্য লেফট পার্টির নেতারা লোফভেনকে দায়ী করেন।

সূত্র: রয়টার্স, এপি।

এসএস