প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসেকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটককৃত কয়েকজনকে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে হাইতির পুলিশ

হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসেকে নিজ বাড়িতে গুলি চালিয়ে হত্যায় ২৮ জন জড়িত এবং এর বেশিরভাগই কলম্বিয়ার সাবেক সেনা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দেশটির পুলিশ প্রধান লিওন চার্লস এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসেকে হত্যায় ২৮ জন জড়িত। তাদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ান এবং ২ জন হাইতি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। এর মধ্যে ২ জন মার্কিন নাগরিকসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে এবং ৮ জন সন্দেহভাজন এখনও পলাতক আছেন।

এছাড়া বাকি অভিযুক্তরা রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান লিওন চার্লস।

গত বুধবার বন্দুকধারীরা প্রেসিডেন্ট মোয়েসের ব্যক্তিগত বাড়িতে হামলা চালায় এবং গুলি করে হত্যা করে। এ হামলায় তার স্ত্রী ও দেশের ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোয়েস আহত হন। পরে দ্রুত তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে নেওয়া হয়। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন বলে জানানো হয়েছে।

২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশটিতে তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়েছিলেন জোভেনেল মোয়েসে। প্রেসিডেন্ট মোয়েস দেশটিতে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন বলে চলতি বছর বিরোধীদলগুলো অভিযোগ তোলে। যদিও মোয়েস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৮০৪ সালে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয় হাইতি। দেশটি প্রথমে স্পেনীয় ও পরে ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। ফরাসি ঔপনিবেশিকদের উৎখাত করে বিশ্বে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত হয় দেশটিতে।

স্বাধীন হলেও বিগত দুই শতাব্দী ধরে দেশটি একের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা, আগ্রাসন আর দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে গেছে। এর মধ্যে পরিবারতান্ত্রিক দুভেলিয়ারদের স্বৈরতান্ত্রিক কর্তৃত্বাবাদী শাসনের শিকারও হয়েছে দেশটির মানুষ।

সূত্র: আলজাজিরা

টিএম