চীনে পাওয়া যায় এমন বড় আকারের পান্ডা (সাধারণত জায়ান্ট পান্ডা নামে পরিচিত) এখন আর ‌‘বিপন্ন নয়’ বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তবে বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়া জায়ান্ট পান্ডা নিয়ে এখনো শঙ্কা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

চীনের বনাঞ্চলে জায়ান্ট পান্ডার সংখ্যা এক হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর প্রাণীটি বিপন্ন শ্রেণি থেকে বেরিয়ে এসেছে। প্রাণীটি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পান্ডার আবাসস্থল বাড়ানোসহ চীনের নেওয়া দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় একে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচিয়েছে।     

বিবিসির শুক্রবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এমন খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, পান্ডাকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে চীন। কূটনৈতিক সম্পর্কের হাতিয়ার হিসেবে বেইজিং অনেক দেশকে পান্ডা উপহার হিসেবেও পাঠায়।

এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির বাস্তুসংস্থান ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জীবনযাত্রার শর্তের উন্নয়ন ও বাসস্থান রক্ষায় চীনের প্রচেষ্টার কারণে ‘বিপন্ন’ প্রাণীর তালিকা থেকে ওপরের দিকে উঠে এসেছে জায়ান্ট পান্ডা।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এর আগে থেকেই প্রাণীটিকে এর বিপন্ন প্রজাতির তালিকা থেকে সরিয়ে নেয় ২০১৬ সালে। তবে নতুন করে একে ঝুঁকিপূর্ণ প্রাণীর শ্রেণি তালিকায় রেখে দেওয়া হয়।

তবে তখন চীনের কর্মকর্তারা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের সিদ্ধান্তটি বিতর্কিত অভিহিত করে বলেন, বিপন্ন তালিকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রাখা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এতে পান্ডা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখানো হতে পারে। 

চীনের এই ঘোষণায় দেশটির গণমাধ্যমে উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যাচ্ছে। একে তারা কঠোর পরিশ্রমের ফল হিসেবে দেখছেন। চীনের সামাজিক মাধ্যম উইবোতে একজন লিখেছেন, কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল এটি। সংরক্ষণবিদেরা অনেক ভালো কাজ করেছেন।’

এএস