হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভনেল ময়েস গত বুধবার রাজধানী পোর্টো প্রিন্সে নিজের ​বাসভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে খুন হওয়ার পর দেশটির প্রধান অবকাঠামোগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বিদেশি সৈন্য পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির সরকার।

হাইতির সরকারের এই অনুরোধ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘকে পাঠানো হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হাইতিতে সামরিক সহায়তা অর্থাৎ মার্কিন সেনাদের পাঠানোর কোন পরিকল্পনা ‘এই মুহূর্তে তাদের নেই।’

সেনা না পাঠালেও প্রেসিডেন্ট জোভনেল ময়েসকে হত্যার ​তদন্তে সহায়তা করার জন্য মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই ও দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের কিছু কর্মকর্তাকে হাইতি পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে হাইতির পুলিশ জানিয়েছিল যে ২৮ জন বিদেশি ভাড়াটে সৈন্যের একটি দল বুধবার প্রেসিডেন্ট ময়েসের বাসভবনে আক্রমণ চালিয়ে তাকে হত্যা করে। রাজধানী পোর্টো প্রিন্সে বন্দুকযুদ্ধের পর আক্রমণকারীদের ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনজন সন্দেহভাজন আক্রমণকারীকে পুলিশ হত্যা করেছে। অন্য আরও আট জনকে খোঁজা হচ্ছে। আক্রমণকারীদের মধ্যে কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কলম্বিয়ান সৈন্য রয়েছে। আটক ব্যক্তি ও উদ্ধারকৃত অস্ত্রের ভিডিও হাইতির মিডিয়ায় দেখানো হয়েছে।

সেখানে ওই লোকদের দেহে ক্ষতচিহ্ন ও রক্তের দাগ দেখা যায়। সরকার দুই সপ্তাহের জন্য দেশজুড়ে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। বলা হচ্ছে, আততায়ীদের ধরা এবং এবং সম্ভাব্য সামাজিক অস্থিরতা দমনের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এএস