গোপনে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশি শিশুকে যে কারণে নিরাপদে ফেরালো বিএসএফ

দাদুর সঙ্গে দেখা করতে হবে। তাই কাঁটাতারের বাধা অগ্রাহ্য করে ভারতে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের এক শিশু। তবে দাদুর সঙ্গে দেখা হলেও ফের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিজের বাড়ি ফিরতে গিয়ে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে ধরা পড়ে যায় সে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) ওই শিশুকে গ্রেফতার করলেও দু’দেশের মৈত্রীর বন্ধনের কথা মাথায় রেখে তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

বিএসএফ’র  সূত্র দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ৭৮ ব্যাটালিয়ানের অন্তর্ভুক্ত ফিরোজপুর সীমান্ত চৌকি এলাকায় মোহাম্মদ নয়ন আলী নামে এক শিশুকে গ্রেফতার করে বিএসএফের সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ১২ বছর বয়সী নয়ন জানায়, কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, তার দাদু ইরামুল শেখের সঙ্গে দেখা করতেই ভারতে ঢুকেছিল সে।

ওই শিশু আরও জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে সীমান্তের কাঁটাতার লঙ্ঘন করে ভারতে প্রবেশ করে সে। পরে সেখান থেকে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার বাজিতপুর গ্রামে গিয়ে দাদুর সঙ্গে দেখা করে। এরপর আবারও বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের জোহরপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিল সে। তবে সীমান্তেই বিএসএফের হাতে গ্রেফতার হয় নয়ন আলী।

নয়নকে গ্রেফতার করলেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে তুলে দেয় তারা। বিএসএফ’র ৭৮ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার শ্রী বিশ্ববন্ধু বলেন, ‘তদন্তের পর আমরা নিশ্চিত হই যে, শিশুটি কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেনি। ছেলেটি তার দাদুর সঙ্গে দেখা করতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এ ভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করা অপরাধ। তবে ছেলেটির ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এবং সীমান্তের দু’পারের বাসিন্দাদের সুসম্পর্ককে সম্মান জানিয়ে তাকে বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’

টিএম