মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফি।

সশস্ত্র বিদ্রোহ এরপর যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের বিমান হামলার মুখে পালানোর সময় আটক হয়ে ২০১১ সালে নির্মমভাবে প্রাণ হারানো লিবিয়ার একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ বেঁচে আছেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল বেশ কয়েক বছর।

বাবার উত্তরসূরী মনে করা সেই সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফি প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। বিমান হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েজন সঙ্গী নিয়ে প্রতিবেশী নাইজারে পালিয়ে যাওয়ার সময় সীমান্তে মরুশহর আওবারি থেকে একদল সশস্ত্র বিদ্রোহীর হাতে ধরা পড়েন।

তখন থেকে তিনি ‘জিনতান ব্রিগেড’ গোষ্ঠীটির কব্জায়। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক আদালতে সাইফের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা হয়েছে। ২০১৫ সালে ত্রিপোলির আদালতে তার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। কিন্তু জিনতান ব্রিগেড কারো কাছে তাকে হস্তান্তর করেনি।

২০১৪ সালের পর গত সাত বছর সাইফ গাদ্দাফির কোনও খোঁজ কেউ পায়নি। তিনি বেঁচে আছেন কি নেই, তা লিবিয়ানদের কাছে তো বটেই বাকি বিশ্বের অনেকের কাছেও অনিশ্চিত ছিল। কিন্তু ৩০ জুলাই মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস সাপ্তাহিক সাময়িকীতে ছবিসহ সাইফ আল ইসলামের বিশাল একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর থেকে তা নিয়ে লিবিয়া এবং আরব বিশ্বে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

সাংবাদিক-লেখক রবার্ট এফ ওয়ার্থকে সাইফ ইসলাম বলেন, বিগত ১০ বছরে লিবিয়া ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে এবং দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে বাঁচাতে তিনি তার বাবার তৈরি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ‘গ্রিন মুভমেন্ট’ পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেছেন।

নিউইয়র্ক টাইমসকে সাইফ বলেন, ‘আমি আমার দেশ ফেরত চাই। তারা আমার দেশকে ধর্ষণ করেছে। হাঁটুর ওপর বসিয়েছে। কারো কাছে কোন টাকা পয়সা নেই। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। আপনি গ্যাস স্টেশনে যান, সেখানে ডিজেল নেই অথচ আমরা ইতালিতে তেল-গ্যাস রফতানি করি। ইতালির অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় আমাদের তেল-গ্যাসে। কিন্তু আমার দেশে চলে লোডশেডিং।’

গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত ও হত্যার ১০ বছর পর তার ছেলের কথায় লিবিয়ার বহু মানুষ একমত হবেন। যে দুর্নীতির অভিযোগে লিবিয়ায় বিদ্রোহ হয়েছিল অভিযোগ এখনো তাই। দারিদ্র্য ও নিরাপত্তাহীনতা বহুগুণে বেড়েছে। সেই সাথে ক্রমাগত চলছে গৃহযুদ্ধ।

জাতিসংঘের চেষ্টায় কলহরত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে এক টেবিলে বসিয়ে সম্প্রতি ত্রিপোলিতে একটি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করা হয়েছে। কিন্তু লিবিয়া এখনও কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত। বেনগাজী শহরসহ দেশটির পূর্বাংশ নিয়ন্ত্রণ করেন সাবেক জেনারেল খালিফা হাফতার। পশ্চিমাংশ নিয়ন্ত্রণ করে একাধিক মিলিশিয়া গোষ্ঠী। ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ অনুমোদিত সরকার অনেক ক্ষেত্রেই অসহায়।

নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত সাইফ আল গাদ্দাফির সাম্প্রতিক ছবি। 

মুখে দাড়ি, মাথায় পাগড়ি, লম্বা জোব্বা

সাংবাদিক ওয়ার্থ লিখেছেন, বিগত আড়াই বছর ধরে নানা সূত্রে খোঁজখবর ও যোগাযোগ করে সাইফ আল ইসলামের খোঁজ পান তিনি। ত্রিপোলি থেকে গোপনে কয়েকবার গাড়ি বদল করে এই সাংবাদিক ও তার ফটোগ্রাফারকে রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে জিনতানের মরুভূমির ভেতর প্রত্যন্ত এক পাহাড়ি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কার্পেট মোড়া, ঝাড়বাতি ঝোলানো ঘরে বসে তাদের কথা হয়।

২০১১ সালের আগে সাইফ ছিলেন লন্ডন অব ইকোনমিকসে পড়াশোনা করা স্মার্ট একজন তরুণ। চোখে থাকত রিম ছাড়া ডিজাইনের চশমা, কেতাদুরস্ত পশ্চিমা পোশাক। পশ্চিমা মিডিয়ার সাথে সাক্ষাৎকারে দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কার আর মানবাধিকারের কথা বলতেন।

কিন্তু সাংবাদিক রবার্ট ওয়ার্থের সামনে বসা সেই সাইফের মুখে ছিল লম্বা দাড়ি। মাথায় পাগড়ি। পরনে উপসাগরীয় আরব শেখদের মত লম্বা জোব্বা। ডানহাতের বুড়ো আঙ্গুল এবং তর্জনী নেই। ২০১১ সালে ন্যাটো জোটের বোমা হামলায় জখমের পরিণতি।

লন্ডন অব ইকোনমিকসে পড়া সাইফ গাদ্দাফি তার বেশভূষা বদলেছেন।

সাইফ গাদ্দাফি বললেন ‘আমি মুক্ত‘

আপনি এখনো বন্দি কিনা, এমন প্রশ্নে সাইফের জবাব, ‘আমি মুক্ত এবং রাজনীতিতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি বলেন, যে বিদ্রোহীরা তাকে বন্দি করে রেখেছিল, এখন তারা তার প্রধান মিত্র। ‘ভেবে দেখুন, যারা এক সময় আমাকে পাহারা দিত এখন তারা আমার বন্ধু।’

ক্ষমতার রাজনীতিতে ফেরার প্রস্তুতি নেয়ার কথা বললেও সাইফ পরিষ্কার করে বলেননি ডিসেম্বরে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা, তাতে তিনি দাঁড়াবেন কিনা। কীভাবে এবং কবে লিবিয়ায় রাজনীতিকে তিনি ঢুকবেন, তার বাবার ‘গ্রিন মুভমেন্টকে’ নতুন করে দাঁড় করাতে তার পরিকল্পনা কি, কিংবা তার সাথে কারা কারা আছেন— এসব বিষয় পরিষ্কার করতে চাননি সাইফ গাদ্দাফি। তিনি শুধু বলেছেন, ‘আমি বহুদিন লোকচক্ষুর বাইরে, আমাকে ধীরে ধীরে মানুষের সামনে আসতে হবে।’

২০১১ সালে বিদ্রোহ শুরুর পর গাদ্দাফির গ্রীন বুকে আগুন দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। 

আরব বসন্ত নিয়ে কি লিবিয়ানদের মোহভঙ্গ হয়েছে?

সাইফ গাদ্দাফির এই সাক্ষাৎকার এবং ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে তার আকাঙ্ক্ষা কতটা আগ্রহ তৈরি করেছে লিবিয়ায় লিবিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর সির্তের বাসিন্দা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রকৌশলী এবং ব্লগার মোজাম্মেল হোসেন তোহা বলেন, তোলপাড় না হলেও লিবিয়া এবং আরব বিশ্বের অনেক গণমাধ্যমে এই সাক্ষাৎকারের খবর বেরিয়েছে এবং তা নিয়ে বেশ কথাবার্তা হচ্ছে।

তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখছি। ২০১৪ সালের পর সাইফ গাদ্দাফির কোনো ছবি বা ভিডিও বের হয়নি। ফলে অনেকে বিভ্রান্ত। সাক্ষাৎকারের সাথে ছাপা লম্বা দাড়িওয়ালা ছবি দেখে অনেকে এটাও বলছেন, এটা আসল সাইফ ইসলাম না, তার ছোট ভাই। নিউইয়র্ক টাইমসে ছাপা হওয়ার কারণে অনেকে বলছেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের আরেক কারসাজি। তবে অনেকে আবার উৎফুল্ল।’

কিন্তু কোন ভরসায় সাইফ ইসলাম লিবিয়ার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এমন প্রশ্ন নিয়ে সাংবাদিক রবার্ট ওয়ার্থ বলছেন, সাইফ গাদ্দাফি এখন বিশ্বাস করেন যে ২০১১ সালের বিপ্লব নিয়ে লিবিয়ার মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে, তারা এখন হতাশ, অনুশোচনা করছে এবং তার বাবার শাসনামল নিয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগতে শুরু করেছে।

তার কিছু নমুনা তিনি নিজেও দেখেছেন বলে ওই সাংবাদিক লিখেছেন। দুটি প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার তিনি উল্লেখ করেন। ত্রিপোলির কাছে একটি মহাসড়কের পাশে এক দোকানে ঢুকে তিনি দেখেন মানুষজন টিভিতে গাদ্দাফির আশির দশকের একটি ভাষণ শুনছে। মিসরের কায়রোভিত্তিক একটি টিভি সেটি সম্প্রচার করছিল।

আরেক ঘটনায় মে মাসে ত্রিপোলিতে এক রেস্তোরায় চারজন তরুণকে ওয়ার্থ প্রশ্ন করেন, ডিসেম্বরের নির্বাচনে তারা কাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখতে চান। তিনজনেরই উত্তর ছিল সাইফ আল ইসলাম।

মোজাম্মেল তোহা বলেন, ‘এক দশক আগের ওই বিপ্লব নিয়ে অনেক মানুষের যে মোহভঙ্গ হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আমারই এক সহকর্মী, যিনি ২০১১ সালে অস্ত্র হাতে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি দুদিন আগেই আমাকে বললেন, তিনি সাইফ আল ইসলামকে সমর্থন করবেন।’

লিবিয়ার সাবেক একনায়কের ছেলে বলেছেন ক্ষমতার রাজনীতিতে ফিরতে চান তিনি।

অপেক্ষায় ছিলেন সাইফ গাদ্দাফি?

লন্ডনে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক সাদি হামদি বিবিসিকে বলেন, নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে সাইফ গাদ্দাফির বক্তব্যে তিনি বিস্মিত হননি। তিনি জানান, গত কয়েক বছর ধরে কখনো গোপনে আবার কখনো প্রকাশ্যেই লিবিয়াতে সাইফ গাদ্দাফিকে নিয়ে কথা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘জিনতানে যে মিলিশিয়া গোষ্ঠী তাকে ধরে রেখেছিল তারা কখনো ত্রিপোলি সরকারের শত চাপেও তাকে হস্তান্তর করেনি। এমনকি আন্তর্জাতিক আদালতের চাপও কাজ করেনি। তারা হয়তো বুঝেছে কোনো না কোনো সময়ে সাইফের রাজনৈতিক মূল্য তৈরি হবে এবং তারা সেটাকে তাদের পক্ষে কাজে লাগাতে পারবে।’

হামদি বলেন, ‘আরব বসন্ত যেসব দেশে সফল হয়েছিল সেগুলো একে একে আবার একনায়কদের হাতে চলে যাচ্ছে। আরব বসন্তের গোড়াপত্তন হওয়া তিউনিসিয়ায় গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান হচ্ছে। সাইফ আল ইসলাম এগুলো দেখছেন এবং তিনি হয়তো সত্যিই মনে করছেন লিবিয়ার জনগণ তার বাবার আমলে ফিরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব।’

তিনি আরও বলছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই লিবিয়ানরা গৃহযুদ্ধে এখন ক্লান্ত, গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতির ছিটেফোঁটার বাস্তবায়নও তারা দেখেননি। এখন তারা অন্তত স্থিতিশীলতা চান।’

কিন্তু প্রশ্ন হলো, ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়ে কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে ১০ বছর উধাও থাকার পর ক্ষমতার রাজনীতিতে ফেরাটা কতটা সহজ হবে সাইফ গাদ্দাফির জন্য? মোজাম্মেল তোহা মনে করেন, একবারেই সহজ হবে না।

তিনি বলছেন, ‘গত এই দশ বছরে যে সব মানুষ শক্তিধর হয়েছে, ক্ষমতার স্বাদ ভোগ করছে তারা আরেকজনকে, বিশেষ করে গাদ্দাফি পরিবারের কাউকে, সেই ক্ষমতায় ভাগ বসাতে দিতে চাইবে না।’

ত্রিপোলিতে গাদ্দাফি ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন, এপ্রিল ২০০৮

সাইফ গাদ্দাফির পেছনে কি রাশিয়া আছে?

লিবিয়ায় বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি বিশেষ করে রাশিয়া, তুরস্ক, মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সক্রিয় এবং তারা কী চায়, তার ওপর স্থানীয় শক্তিগুলোর ক্ষমতা অনেকটা নির্ভর করে। সাইফের উত্থান এই বিদেশি শক্তিগুলোর মধ্যে কে কীভাবে নিতে পারে?

সামি হামদি বলেন, রাশিয়ার সাথে বেশ কিছুদিন ধরে সাইফ গাদ্দাফির যোগাযোগ চলছে বলে ইঙ্গিত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বছর দেড়-দুই আগে এমন খবরও বেরিয়েছে যে কীভাবে জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব, তা নিয়ে সাইফ রাশিয়ার হাতে একটি ব্লু-প্রিন্ট তুলে দেন। এও শোনা গেছে যে, রাশিয়া নিজ থেকে গোপনে সাইফের জনসমর্থন যাচাইও করেছে।’

জেনারেল হাফতারের বড় সমর্থক রাশিয়া। মূলত রুশ সমর্থনের ওপর ভর করেই তিনি এতদিন দেশের পূর্বাঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছেন। তাছাড়া গাদ্দাফি সমর্থকদের একটি বড় অংশ এখন হাফতারের ক্যাম্পে রয়েছেন।

ফলে, রাশিয়া খালিফা হাফতার ও সাইফ গাদ্দাফির মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি বোঝাপড়ায় মধ্যস্থতা করতে পারে, ভবিষ্যতে এমন একটি সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না হামদি। কিন্তু ত্রিপোলি সরকারের প্রধান সমর্থক তুরস্ক বা ইউএই ও মিসর কি তা মেনে নেবে?

বেনগাজীসহ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছেন জেনারেল খালিফা হাফতার।

হামদি বলেন, ‘তুরস্কের সাথে গাদ্দাফি সরকারের ভালো সম্পর্ক ছিল। স্বার্থসিদ্ধি হলে তুরস্ক মিত্র বদলাতে পারে, এমন নজিরও রয়েছে। ইউএই ও মিসর চায় লিবিয়ায় যেন রাজনৈতিক ইসলাম যেন ঘাঁটি গাড়তে না পারে। সাইফ অবশ্যই মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থক নন।’

তাছাড়া সাইফ আল ইসলামের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো লিবিয়ায় নানা শক্তির যে মেরুকরণ, এর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই বা দায় নেই। সুতরাং সব পক্ষের সাথে কথা বলা তার পক্ষে অনেক সহজ হবে।

হামদি বলছেন, ‘গণতন্ত্রের চাইতে লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা এখন সবারই কাম্য। লিবিয়ার সাধারণ জনগণ, (মার্কিন প্রেসিডেন্ট) বাইডেন, ইউরোপ, (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) পুতিন সবাই এ নিয়ে উদগ্রীব।’

তবে স্থিতিশীলতার সেই ভরসা গাদ্দাফি-পুত্র দিতে পারবেন কিনা, তা এখনো কেউ জানেন না। তার মাঠে না নামার আগে এটা বোঝাও এখন শক্ত।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এএস