১০ বছরের অনিশার ইচ্ছে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করার। কিন্তু অনিশার সাংসদ বাবা তাকে বুঝিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত মানুষ। চাইলেই তার সঙ্গে দেখা করা যায় না।  

তাতে কী? এতে দমে যায়নি অনিশা। সুযোগ পেয়েই বাবার ল্যাপটপ থেকে নরেন্দ্র মোদিকে ইমেইল পাঠিয়ে দিয়েছিল অনিশা। 

নিজের পরিচয় দিয়ে ইমেইলে অনিশা তার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিল। ওই ইমেইলের উত্তরের জন্য তাকে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে একদিন জবাব চলে আসে, যাতে লেখা ছিল- ছুটে আমার কাছে চলে এসো!

অনিশা অবশ্য ভারতের সাধারণ কোনো পরিবারের সন্তান না। তার বাবা মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের সাংসদ সুজয় ভিখে প্যাটেল। কিন্তু সেই সাংসদ বাবাও ভাবেননি মেয়ের ইচ্ছে পূরণ হয়ে যাবে।  

নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে ইমেইল আসার পর আর দেরি করেননি প্যাটেল। মেয়েকে নিয়ে সোজা দিল্লি যান তিনি। তাদের আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সংসদ ভবনেই অনিশার স্বপ্ন পূরণ হবে। সে মোতাবেক তারা পৌঁছানোর পর প্যাটেল পরিবারের সদস্যদের দেখে সবার আগেই অনিশার খোঁজ করেন মোদি। আর তারপরই ছোট্ট অনিশার দেখা হয়ে গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে।  

অনিশা ১০ মিনিট সময় পেয়েছিল। এ সময়টুকু সে মোটেও নষ্ট করেনি। একের পর এক প্রশ্ন করে গেছে নরেন্দ্র মোদিকে। 

অনিশা আগে কখনও প্রধানমন্ত্রীর অফিস দেখেনি। এটা যে এত বড় আর বিলাসবহুল হতে পারে তা দেখে অবাক হয়ে যায় অনিশা। বিস্ময় ঠেকাতে না পেরে সে প্রশ্ন করেই বসে-  ‘আপনার অফিসটা কত বড়! এখানেই আপনি সারাদিন বসেন?’ 

জবাবে প্রধানমন্ত্রীও তাকে জানান যে, সংসদের অধিবেশনের সময়টাই তিনি এই অফিস ব্যবহার করেন। এরসঙ্গে তিনি অনিশাকে এও বলেন যে, ‘আজকে শুধুমাত্র তোমার সঙ্গে দেখা করার জন্যই আমি এখানে এসেছি। আমি তোমার সঙ্গে গল্প করবো।’ 

মোদি আর অনিশার মধ্যে কথা হয় আরও বেশ কিছু বিষয়ে। এরমধ্যে উঠে আসে নিজেদের ব্যক্তিগত শখ, পছন্দসহ নানা বিষয়। 

নরেন্দ্র মোদি বরাবরই শিশুদের সঙ্গ পছন্দ করেন। শিশুদের নানা বায়না রাখারও সুনাম রয়েছে তার।  

ছোট্ট অনিশা একটা রাজনৈতিক প্রশ্নও করে বসে প্রধানমন্ত্রীকে। নরেন্দ্র মোদিকে সে বলে বসে, ‘আপনি তো গুজরাটের মানুষ। তাহলে কবে আপনি দেশের রাষ্ট্রপতি হবেন?’ 

অনিশার এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য দিতে পারেননি মোদি। তবে উপস্থিত সবাই হাসেতে ফেটে পড়েন। 

এনএফ