নিউজিল্যান্ডের দ্বার এ বছরও খুলছে না
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন জানিয়েছেন, দেশটির সীমান্ত চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। দেশকে বিচ্ছিন্ন করার কৌশল নেওয়ায় নিউজিল্যান্ড কোভিডের প্রকোপ ঠেকাতে পেরেছে ও অর্থনীতি সচল রাখতে পেরেছে বলে দাবি তার।
আগামী বছরের শুরু থেকে ঝুঁকি বিবেচনা করে কোয়ারেন্টিনবিহীন ভ্রমণ চালু করার ব্যাপারে নতুন একটি মডেল তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান আর্ডান। তিনি আরও বলেছেন, তার সরকার এ বছরের মধ্যে দেশের সব মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
মহামারির কারণে বিচ্ছিন্ন নিউজিল্যান্ডের মানুষকে কীভাবে আবার গোটা বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়, এ নিয়ে একটি ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে আর্ডার্ন বলেছেন, ‘এটা বোঝা খুব সহজ যে, দেশকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার মতো সময় এখনো আসেনি।’
বিজ্ঞাপন
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী তার ওই বক্তব্যে সীমান্ত এ বছর বন্ধ থাকছে বলে জানানোর সময় আরও বলেন, ‘যখন আমরা আবার চলাচল করবো তখন সেটা হবে সতর্ক ও ইচ্ছাকৃত। কারণ আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে এবং যতটা সম্ভব নিশ্চিয়তার সাথে এগিয়ে যেতে চাই।’
কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া মানুষজন আগামী বছর থেকে কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই নিউজিল্যান্ড যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশের মানুষকে ব্যক্তিগত আইসোলেশন নয়তো ১৪ দিনে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের সাফল্য সবার নজর কেড়েছে। দেশটি দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল। যখন মাত্র কয়েকটা সংক্রমণ ধরা পড়ে তখনই পুরো দেশে লকডাউন জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় সীমান্ত। এরপর থেকে সীমান্ত আর খোলা হয়নি।
নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত মহামারি করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২ হাজার ৯১৩ জন। এর মধ্যে কোভিড আক্রান্ত ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া দেশটিতে করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ৮৪৪ জন রোগী এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এএস