রাশিয়ার পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক ব্রিটিশ নাগরিককে গ্রেফতার করেছে জার্মানির পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ওই ব্রিটিশ নাগরিকের পুরো নাম গোপন রাখা হলেও আপাতত ‘ডেভিড এস’ বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিনি বার্লিনে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে কাজ করতেন।

ডেভিড এস ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে অর্থের বিনিময়ে রাশিয়াকে তথ্য পাচার করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা এ বিষয়ে একত্রে তদন্তে নেমেছেন।

জার্মান পুলিশের সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ব্যক্তির ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। একপর্যায়ে বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পরেই ডেভিড এসকে গ্রেফতার করা হয়। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন। তবে প্রাথমিক তদন্ত করছে জার্মান পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য জার্মান আদালতে তোলা হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাদের বক্তব্য, ৫৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গত বছর রাশিয়ার এক গোয়েন্দার সংস্পর্শে আসেন। অর্থের বিনিময়ে তিনি ওই ব্যক্তিকে কিছু গোপন তথ্য পাচার করেন। তবে রাশিয়ার গোয়েন্দা তাকে কত অর্থ দিয়েছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাদের ধারণা, অন্তত একবার তিনি তথ্য পাচার করেছেন। একটি ঘটনার তথ্যপ্রমাণ তাদের হাতে আছে। তবে তাদের সন্দেহ, একাধিকবার ওই কাজ করেছেন আটককৃত ব্যক্তি।

যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে অবশ্য জানিয়েছেন, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক হওয়া ওই ব্যক্তি দূতাবাসে উঁচু পদে কাজ করতেন না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ নথি তার হাতে ছিল না। যে নথি তিনি রাশিয়ার গোয়েন্দাকে পাঠিয়েছেন, তা কাউন্টার টেররিজম সংক্রান্ত।

ওই ব্যক্তিকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, জার্মান পুলিশই প্রাথমিক তদন্ত করবে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

টিএম