সামরিক সাফল্যে উল্লসিত তালেবান কর্মীরা যেন কাবুলের সাধারণ মানুষকে কোনো প্রকার হয়রানি ও ঘরে ঢুকে লুটপাট না করে, সে জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন গোষ্ঠীটির নেতারা। তালেবান মুখপাত্র সোহেল শাহিন সোমবার সকালে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

টুইটে সোহেল শাহিন বলেন, ‘ইসলামিক আমিরাত (তালেবানগোষ্ঠী) সব মুজাহিদিনদের (তালেবান কর্মী) আবারও নির্দেশ দিচ্ছে- কোনো মুজাহিদিন যেন সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে তাদের হয়রানি, হত্যা ও সহায় সম্পত্তির কোনো প্রকার ক্ষতি না করে। কোনো মুজাহিদিনকে এ ধরণের কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান সব মুজাহিদিনের কর্তব্য।’

আগের দিন রোববার (১৫ আগস্ট) এক টুইটে সোহেল শাহিন বলেছিলেন, কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি (গাড়ি, জমি, বাড়িঘর, বাজার ও দোকান) দখলের কোনো আগ্রহ তালেবানের নেই; বরং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করা তাদের প্রাথমিক কর্তব্য।

চলতি বছর এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

তার পরের মাস, অর্থাৎ মে থেকে আফগানিস্তান দখলের অভিযানে নামে তালেবানগোষ্ঠী এবং অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে দেশেটির ৩৪ টি প্রদেশের ২৮ টি নিজেদের দখলে আনার পর রোববার রাজধানী কাবুলের দখল নিতে সক্ষম হয় কট্টর ইসলামপন্থি এই গোষ্ঠী।

ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন এবং আফগানিস্তানে একটি নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এদিকে তালেবানগোষ্ঠী অভিযান শুরুর পর থেকে দখলকৃত এলাকাগুলোতে বিনা অনুমতিতে সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢোকা, লুটপাট করা, নারীদের জোরপূর্বক গৃহবন্দি ও সাধারণ লোকজনকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছিল তালেবান সদস্যদের বিরুদ্ধে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে দিকে কাবুলেও একই তৎপরতা শুরু করেছিল সশস্ত্র তালেবানকর্মীরা, তবে তা ঘণ্টাখানেকের বেশি স্থায়ী হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা।

সূত্র : বিবিসি

এসএমডব্লিউ