কাবুল ছেড়েছে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আতঙ্কে ২ হাজার ২০০-র বেশি কূটনীতিক ও সাধারণ মানুষ এখন পর্যন্ত কাবুল ছেড়েছেন। সামরিক বিমানে করে তারা কাবুল ত্যাগ করেন। বার্তসংস্থা রয়টার্সকে বুধবার (১৮ আগস্ট) পশ্চিমা এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
এদিকে বুধবার সকালে কাবুল ছেড়ে যাওয়া ১৩১ জনকে বহনকারী একটি বিমান জার্মানির ফ্রাংকফুর্টে অবতরণ করেছে। প্রথমে কাবুল থেকে একটি সামরিক বিমানে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে এবং সেখান থেকে লুফথানসার একটি চার্টার্ড বিমানে করে তারা জার্মানিতে পৌঁছান।
বিজ্ঞাপন
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির বিমান সংস্থা লুফথানসা জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে এভাবে তারা আরও কয়েকটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৪০ জন আরোহী নিয়ে একটি ডাচ সি-১৭ পরিবহন বিমান কাবুল ছেড়েছে। তবে ওই বিমানে কোনো ডাচ বা আফগান নাগরিক ছিলেন না বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে তালেবানের হাতে কাবুল পতনের সময়টাতে বিমানবন্দরে নিজের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কথা সামনে এনেছেন একজন ডাচ-আফগান নাগরিক। তালেবানের কাবুলে ঢোকার সেই চরম বিশৃঙ্খল সময়ে কোনোমতে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে সক্ষম হলেও গেটে দায়িত্বরত মার্কিন সেনারা ওই ব্যক্তি ও তার পরিবারকে আটকে দেন। ডাচ নাগরিক হলেও স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে করে সেসময় তিনি কাবুলে বেড়াতে এসেছিলেন।
নেদারল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনওএস’কে তিনি বলেন, ‘মার্কিন সেনারা বিমানবন্দরের দরজায় পাহারা দিচ্ছিলেন। আমি তাদেরকে আমার পাসপোর্ট দেখালাম এবং ডাচ নাগরিক বলে পরিচয় দিলাম। সেখানে প্রচুর শব্দ হচ্ছিল এবং আমেরিকান সেনারা ঠিক কি বলছিলেন তা আমি ভালোভাবে শুনতে পাইনি। আমি যখন তৃতীয়বার বললাম যে- আমি নেদারল্যান্ডের একজন নাগরিক, তখন মার্কিন সেনারা আমাকে পেছনে সরে যেতে বলে, অন্যথায় গুলি করার হুমকি দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমি সেখান থেকে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি আমি নিতে চাইনি।’
টিএম