আফগানিস্তান থেকে ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জোরালো কার্যক্রমের মাঝেই রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে হতাহতদের মধ্যে মার্কিন সৈন্য এবং নাগরিকও আছেন বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন।

পশ্চিমা দেশগুলো আফগানিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের অনুসারী ইসলামিক স্টেট খোরাসানের সদস্যরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটেছে। পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবি টুইট বার্তায় আফগানিস্তানের রাজধানীর বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণে মার্কিনিদের হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ওয়াশিংটনের অপর এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বিস্ফোরণে কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে হতাহতদের মধ্যে মার্কিন নাগরিক ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক এবং বেসামরিকরাও হতাহত হয়েছেন। সেখানে ‘জটিল হামলার’ কারণে মার্কিনিরা হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

দেশ ছাড়তে মরিয়া হাজার হাজার মানুষ যখন কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থান করছেন, তখন বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটল। দেশটির ক্ষমতাসীন নতুন শাসকগোষ্ঠী তালেবানের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর বিস্ফোরণে শিশুসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের প্রবেশদ্বারে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সন্ত্রাসী হামলার হুমকির কারণে সতর্কতা হিসেবে বন্ধ করে দেওয়া তিনটি গেটের একটি অ্যাবে গেট। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিনিধি জোনাথন বিয়ালে বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরে প্রথম বিস্ফোরণের পরপর দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের পাশাপাশি সেখানে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গোলাগুলিও হয়েছে।

তিনি বলেছেন, জোড়া এই বিস্ফোরণ বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের কাছের প্রবেশদ্বারে ঘটেছে; যেখানে হাজার হাজার আফগান গত ১২ দিন ধরে অবস্থান করছেন।

এসএস