আফগানিস্তান থেকে নিজ দেশের নাগরিক ও ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের ফিরিয়ে আনা বিষয়ক কার্যক্রমের সমাপ্তি টেনেছে কানাডা ও ফ্রান্স। কানাডা বৃহস্পতিবারই সমাপ্তি ঘোষণা করেছে।

আর ফ্রান্স জানিয়েছে, নিজ দেশের নাগরিক ও ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের ফিরিয়ে আনতে শেষ ফ্লাইটটি কাবুল বিমানবন্দর থেকে প্যারিসের উদ্দেশে রওনা হবে শুক্রবার সকালে।

কানাডার প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়েন এইয়ার বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের পক্ষে যতদিন সম্ভব, আফগানিস্তানে অবস্থান করেছি। যদি সম্ভব হতো, তাহলে আরও বেশিদিন আফগানিস্তানে থাকতাম, সেখানকার ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সবাইকেই ফিরিয়ে আনতাম।'

ওয়েন এইয়ার জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে ৩ হাজার ৭০০ মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

এদিকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম আরটিএল রেডিওকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘শুক্রবারের পর আর আমাদের পক্ষে কাবুল থেকে আর মানুষজন সরিয়ে আনা সম্ভবপর হবে না।’

ফ্রান্স সরকারের একটি সূত্র দেশটির বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সেনা বাহিনীর হাতে আছে এবং ৩১ আগস্টের মধ্যে যে কোনো দিন তা প্রত্যাহার করে নিতে পারে দেশটি। এ কারণে ফ্রান্স কোনো প্রকার ঝুঁকি নিতে চাইছে না।

সূত্র আরও জানিয়েছে, এখন থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত যে কয়েক ঘণ্টা হাতে আছে, ফ্রান্স তার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারের চেষ্টা করবে এবং এই সময়সীমার মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী ও কাবুলে ফরাসি দূতাবাসের সব কর্মীকে ফিরিয়ে আনা হবে।

বৃহস্পতিবারের সাক্ষাৎকারে জিন ক্যাসটেক্স জানান, গত ১৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত কাবুল থেকে ২ হাজার ৫০০ মানুষকে সরিয়ে এনেছে ফ্রান্স এবং এক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফ্রান্সের যে বিমান ঘাঁটি রয়েছে, সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘যে ২ হাজার ৫০০ মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে ফ্রান্সের নাগরিকদের পাশাপাশি আফগান সাংবাদিক, শিল্পী এবং তালেবান শাসনে ঝুঁকিতে থাকা লোকজন ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আছেন।’

সূত্র : রয়টার্স, এএফপি

এসএমডব্লিউ