কাবুল বিমানবন্দরে দুটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬০ আফগান ও ১২ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪০ জনের বেশি। হতাহতদের মধ্যে বেসামরিক আফগান নারী ও শিশু রয়েছে।

হোয়াইট হাউসে তখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল। ওই সময়ই কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবে গেট থেকে প্রথম বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। এ সংবাদ পেয়ে বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন। দ্রুত নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের কাছে সর্বশেষ পরিস্থিতির খোঁজ নিতে শুরু করেন তিনি।

কিছুক্ষণ পরেই বিমানবন্দরের অদূরে ব্যারন হোটেলের সামনে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। সেই সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর খবর। ফলে আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। কারণ, বিমানবন্দরের প্রবেশপথ ও বেড়ার পাশে নালায় ভিড় ছিল আফগানরা। এছাড়াও হোটেলেই অবস্থান করছিলেন আফগানিস্তানে থেকে যাওয়া অনেক মার্কিন নাগরিক।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি টুইটারে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের জঙ্গি হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি মার্কিন সেনারা হতাহত হয়েছেন।

এই নাশকতার পিছনে ইসলামিক স্টেট খোরাসানের (আইএস) হাত রয়েছে বলেই জানিয়েছে ওয়াশিংটন ও তালেবান। পরে তারা আমাক নিউজ এজেন্সি টেলিগ্রাম বার্তায় বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে।

প্রসঙ্গত, সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের আফগানিস্তান শাখা ‘কট্টর তালিবান-বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত। গত কয়েক বছরে আইএসের হামলায় বেশ কিছু তালেবানের মৃত্যুও হয়েছে। আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির অনুগত এই বাহিনী সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের একাংশ নিয়ে ঐতিহাসিক খোরাসান অঞ্চলে নয়া ইসলামিক রাষ্ট্র গড়তে চায়।

ওএফ