বৃহস্পতিবারের হামলার ধাক্কা এবং পরবর্তী আরও হামলার ঝুঁকির মধ্যেই ফের প্রত্যাহার ফ্লাইট শুরু হয়েছে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

শুক্রবার দুপুর থেকে প্রত্যাহার ফ্লাইট চালু হয়েছে উল্লেখ করে কাবুলে অবস্থানরত আল জাজিরা প্রতিবেদক চার্লস স্ট্রাটফোর্ড বিমানবন্দর এলাকা থেকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘এর মধ্যে বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজকে কাবুল বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করতে দেখা গেছে। গতকালের পর থেকে ধীরে ধীরে বিমানবন্দর এলাকায় ভিড়ও বাড়ছে।’

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরপর দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে।  প্রথম বিস্ফোরণটি হয় অ্যাবেই গেটের কাছে, যেখানে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী বিমানবন্দরের দায়িত্বে ছিলেন। হামলার পর গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে সেখানে।

এর কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে ব্যারন হোটেলের পাশে, যেখানে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ প্রত্যাশী আফগানদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ভয়াবহ এই হামলায় মোট নিহত হয়েছেন ১০৩ জন। তবে সর্বশেষ সংবাদে আল জাজিরা জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১০ জনে।  

নিহতদের ১৩ জন মার্কিন সেনা আছেন, বাকিরা সবাই আফগান নাগরিক।। নিহত আফগান নাগরিকদের মধ্যে ২৮ তালেবান সদস্য আছেন বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের খোরাসান শাখা ইতোমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে।

আগস্টের শুরু থেকেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিক ও ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের ফিরিয়ে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কাবুল বিমানবন্দর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছে মার্কিন সেনা বাহিনী।

ইতোমধ্যে আফগানিস্তান থেকে মানুষ সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে কানাডা, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ এখনও এই কার্যক্রম জারি রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হবে।

সূত্র : আল জাজিরা

এসএমডব্লিউ