ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এবার দাবানলে পুড়ছে স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ আন্দালুসিয়া। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ইতোমধ্যে মারা গেছেন এক উদ্ধারকর্মী।

দাবানলের তেজ থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ।সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্দালুসিয়ার পর্যটন শহর এস্তেপোনায় প্রথম দেখা দেয় এই দুর্যোগ। তারপর খুব দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।

বর্তমানে আন্দালুসিয়ার বনাঞ্চল সংলগ্ন আরও ১১ টি লোকালয় দাবানলে পুড়ছে। এসব লোকালয়ের মধ্যে গ্রাম ও শহর উভয়ই আছে। উপদ্রুত এলাকাসমূহ থেকে লোকজনদের সরিয়ে আনছেন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা।

আন্দালুসিয়া ফায়ার সার্ভিস বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জুয়ান সানচেজ বিবিসিকে বলেছেন, নিজের চাকরিজীবনে এমন ব্যাপক ও বিস্তৃত দাবানল তিনি আগে দেখেননি।

তিনি আরও জানান,  ৪১ টি বিমান, ২৫ টি গাড়ি এবং কয়েকশ ফায়ার সার্ভিস কর্মী দিনরাত আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত আছে, তবুও এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি এই দুর্যোগ। ইতোমধ্যে আগুন নেভাতে গিয়ে এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

স্পেনের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দাবানলে এখন পর্যন্ত আন্দালুসিয়ার ৭ হাজার ৪০০ হেক্টর (১৮ হাজার ২০০ একর) জমির বনাঞ্চল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। উপদ্রুত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এখনও কয়েক মাইল দূর থেকে দাবানলের ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখা যাচ্ছে।

দেশটির সরকার জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজে সহায়তা করতে ইতোমধ্যে সেনা সদস্যদের নিয়োগ করা হয়েছে।

দাবানলের তেজ থেকে বাঁচতে ইতোমধ্যে বহু মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে উঠেছেন। তাদেরেই একজন আদ্রিয়ানা ইয়াকব নামে এক নারী বিবিসিকে বলেন, ‘এটি একটি অপার্থিব ব্যাপার। আমি জীবনে এ রকম ব্যাপক দুর্যোগ দেখিনি। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন বনাঞ্চলে ধোঁয়ার পর্বত তৈরি হয়েছে।’

পেপা রুবিও নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘যেদিন থেকে এই দাবানল শুরু হয়েছে, আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারছি না। এটা খুবই বিরক্তিকর।’

সূত্র : বিবিসি

এসএমডব্লিউ