ফাইল ফুটেজের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার টিভিতে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খবর প্রচার করা হচ্ছে

উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল বরাবর সমুদ্রে একটি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। এমন সময় এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনা ঘটলো যখন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘে বলেছেন যে, আত্মরক্ষার জন্য পিয়ংইংয়ের অস্ত্র পরীক্ষার অধিকার কেউ অস্বীকার করতে পারে না।

চলতি মাসের শুরুর দিকে পিয়ংইয়ং ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে অবগত আছে, তবে এটা কোনো মার্কিন সৈন্য বা তাদের মিত্রদের প্রতি তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি সৃষ্টি করেনি।

মঙ্গলবার জাপানের গণমাধ্যম দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বলে, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা মিসাইলটি হয়তো কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। যার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এদিকে উত্তদর কোরিয়ার সর্বশেষ এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং কিম জং উনের ক্ষমতাধর বোন কিম ইয়ো জং যে বিবৃতি দিয়েছেন; এসব দ্বারা পিয়ংইয়ংয়ের কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কি না তা বিশ্লেষণ করে দেখতে সিউলের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন।

কিম ইয়ো জং কয়েকদিন আগে বলেছেন, তারা কোরিয়ান যুদ্ধ অবসানের ব্যাপারে কিমের প্রস্তাবের ব্যাপারে ইতিবাচক, কিন্তু তার আগে সিউলের সরকারকে কঠোর শত্রুতামূলক অবস্থান পরিত্যাগ করতে হবে।

সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ার দূত কিম সং নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেন। তিনি সেখানে বলেন, উত্তরের অস্ত্র ‘উন্নয়ণ, পরীক্ষণ, উৎপাদন এবং সংরক্ষণের’ অধিকার আছে। তিনি আরও বলেন, তার দেশ ‘নিজেকে রক্ষার উদ্দেশে জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ছে’।

সামরিক কর্মকাণ্ড ইস্যুতে দক্ষিণ কোরিয়া সবসময় দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করে বলে উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করে আসছে। দক্ষিণ কোরিয়া সম্প্রতি তাদের প্রথম সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।

টিএম