ফাইল ছবি

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি মসজিদের বাইরে বিস্ফোরণে ‌‘বেশ কয়েকজন বেসামরিক’ নিহত হয়েছেন বলে তালেবানের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। মসজিদের প্রবেশপথে রোববারের এই বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।

কাবুলের ঈদ গাহ মসজিদের প্রবেশপথের কাছে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদর মায়ের জন্য আয়োজিত শোক অনুষ্ঠানে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার ব্যাপারে কোনও গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।

গত সপ্তাহে মারা যাওয়া মায়ের জন্য ঈদ গাহ মসজিদে প্রার্থনার আয়োজন করেছিলেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রার্থনা অনুষ্ঠানে বন্ধুবান্ধবসহ সবাইকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি।

রোববার সকালের দিকে অনুষ্ঠান চলাকালে মসজিদের প্রবেশপথে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অনেকেই হতাহত হয়েছেন বলে তালেবানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিস্ফোরণস্থলের পাশের দোকানি আহমাদুল্লাহ ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, আমি ঈদ গাহ মসজিদের কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। বিস্ফোরণের আগে সেখানে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে।

‌‘বিস্ফোরণের আগে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের মায়ের স্মরণে ঈদ গাহ মসজিদে শোক অনুষ্ঠান শুরুর জন্য তালেবানের সদস্যরা সেখানকার সড়ক বন্ধ করে দেন।’

রাজধানী কাবুলের দু’টি স্থানে এএফপির সাংবাদিকরা বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিস্ফোরণস্থল থেকে আহতদের উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে কাবুলের শাহর-ই নাও এলাকার এমারজেন্সি হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

টুইটারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা অন্তত আহত চারজনকে চিকিৎসা দিয়েছে। চিকিৎসা কর্মীদের হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করতে দেখেছেন এএফপির সাংবাদিকরা। তারা রক্তমাখা কাপড়ে লোকজনকে হাসপাতালে আসতে দেখেছেন।

গত আগস্টের মাঝের দিকে আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের দখলে যাওয়ার পর থেকে দেশটিতে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দেশটিতে তালেবান এবং আইএসের ব্যাপক সংঘাতের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় অনুসারী ইসলামিক স্টেট খোরাশান প্রভিন্সের (আইএসকেপি) শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। আইএসকেপিকে প্রধান শত্রু বলে মনে করে দেশটির নতুন ক্ষমতাসীন কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠী তালেবান। তালেবানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি হামলা চালানোর দাবি করেছে আইএসকেপি। প্রাদেশিক রাজধানী জালালাবাদে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা।