চার বছরের টানাপোড়েন শেষে ওয়াশিংটন-অটোয়ার সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের আগ্রহের মধ্যেই আগামী মাসে বৈঠক করতে রাজি হয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম কোনো বিদেশি রাষ্ট্রনেতা হিসেবে  শুক্রবার ট্রুডোকে ফোন করেন বাইডেন। হোয়াইট হাউস অবশ্য আগেই জানিয়েছিল যে, বাইডেনের প্রথম ফোন পাবেন ট্রুডো।

ট্রুডোর কার্যালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘ফোনালাপে দুই রাষ্ট্রনেতা কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের গভীর ও স্থায়ী বন্ধুত্ব পুনর্নবায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আগামী মাসে বৈঠক করতে রাজি হয়েছেন।’ 

ট্রাম্পের চার বছরের শাসনামলে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল।

মার্কিন দৈনিক দ্য হিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠকটি সাক্ষাতে হবে, বাইডেন অটোয়া সফর করবেন না ট্রুডো ওয়াশিংটন সফর করবেন নাকি ভার্চুয়ালি বৈঠক হবে— সেসব কিছুই জানানো হয়নি।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এক মাসের মধ্যে আবার কথপোকথনে রাজি হয়েছেন তারা। প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের প্রথম বিদেশ সফরের জন্য কিছুটা সময় লাগবে।’  

বাইডেন ও ট্রুডো মহামারি মোকাবিলা, সম্পর্ক জোরদার, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নসহ দ্বিপাক্ষিক আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। 

প্রথা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টদের প্রথম বিদেশ সফর শুরু হয় সাধারণত সীমান্ত লাগোয়া প্রতিবেশ দেশ কানাডা সফরের মধ্য দিয়ে। তবে করোনার কারণে বাইডেনের বিদেশ দেরিতে শুরু হতে পারে।

দুই দেশের দেওয়া বিবৃতি অনুযায় ফোনালাপে বাইডেন ও ট্রুডো মহামারি মোকাবিলা, সম্পর্ক জোরদার, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নসহ দ্বিপাক্ষিক আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। 

বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর উভয়পক্ষই এখন সেই সম্পর্ক মেরামতে উদ্যোগী হয়েছে।  

উল্লেখ্য, সদ্যসাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চার বছরের শাসনামলে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। তবে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর উভয়পক্ষই এখন সেই সম্পর্ক মেরামতে উদ্যোগী হয়েছে।  

এএস