ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর আঞ্চলিক দুই পরাশক্তি সৌদি আরব এবং তুরস্কের সম্পর্ক গত দুই বছর আগেও ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে ছিল। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সৌদি আরবের সরকারের পাঠানো ঘাতকদের হাতে রাজপরিবারের সমালোচক এই সাংবাদিক খুন হন।

সেই সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নিন্দা জানায় তুরস্ক। নির্বাসিত এই সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি আরবের ডি-ফ্যাক্টো নেতা ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠদের ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ আঙ্কারার। কিন্তু দীর্ঘদিন পর এখন আঙ্কারা এবং রিয়াদের সম্পর্ক হৃদ্যতাপূর্ণ হতে শুরু করেছে।

তুরস্কের মিত্র কাতার এবং সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন চার দেশের সঙ্গে দোহার সম্পর্ক স্বাভাবিক ও ২০১৭ সালে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ফিরতে যাচ্ছে রিয়াদ-আঙ্কারা। চলতি মাসের শুরুর দিকে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) এক বৈঠকে সৌদি আরব এবং এর মিত্ররা দোহার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের পাশাপাশি আকাশপথ ও স্থল সীমান্ত পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়। সৌদি জোটের এই সিদ্ধান্তকে ‌‘খুবই উপকারী’ উল্লেখ করে স্বাগত জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি- উপসাগরীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থানও পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে। এটি উপসাগরীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।

আঙ্কারা এবং রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় কাতার। কাতারের বিশেষ দূত মুতলাক আল-কাহতানি বলেন, এই দুই দেশ যদি মধ্যস্থতায় কাতারের ভূমিকা মেনে নেয়; তাহলেই কেবল এটি করা সম্ভব। এসব দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই সবার স্বার্থ।

জিসিসির বৈঠকের আগেই সৌদি আরব এবং তুরস্কের সম্পর্কে উষ্ণতার আলামতের আভাস মেলে। গত নভেম্বরে জি-২০ সম্মেলনের শুরুতে এরদোয়ান এবং সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ টেলিফোনে আলাপ করেন। পরে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও বিভিন্ন সঙ্কটের সমাধানে আলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখতে সম্মত হয়েছেন দুই দেশের নেতা।

পরবর্তীতে নাইজারে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) এক বৈঠকে স্বাক্ষাৎ করেন সৌদি আরব ও তুরস্কের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই বৈঠকের পর তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এক টুইট বার্তায় তাদের অংশীদারিত্বে শুধুমাত্র দুই দেশই নয় বরং পুরো অঞ্চল উপকৃত হবে বলে জানান।

ভোলবদলের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্লেষকরা বলেছেন, গত কয়েক বছরে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে অনেক সঙ্কট দেখা দেয়; যা নিয়ে বিশ্বের অন্যপ্রান্তে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। আর এটিই রিয়াদ এবং আঙ্কারার সম্পর্ক স্বাভাবিকের মনোভাব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবনে খালদুন সেন্টারের সহযোগী গবেষক আলী বাকির আলজাজিরাকে বলেন, প্রধান কারণ হলো- যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে গেছেন এবং সৌদি আরব মনে করেছে, নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি রিয়াদের ওপর চাপপ্রয়োগ করেন; তাহলে তাদের নতুন বিকল্পের ব্যাপারে ভাবতে হবে।

সৌদি আরব এবং তুরস্ক ধারণা করছে, বাইডেনের নতুন প্রশাসন এই অঞ্চলে ইরানকে মোকাবিলায় ট্রাম্পের নেয়া নীতি থেকে বেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের বিষয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আনবেন এবং এর পরিবর্তে তিনি বৃহত্তর মানবাধিকারের নীতির প্রতি গুরুত্ব দেবেন।

ট্রাম্পের অনুমোদনেই ২০১৭ সালে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন দেশগুলো কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করায় মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটের শুরু হয় উল্লেখ করে আলী বাকির বলেন, বাইডেন প্রশাসন যদি রিয়াদের ওপর চাপপ্রয়োগ না করে, তাহলে তারা আঙ্কারার সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে বাধ্য নাও হতে পারে।

সাবানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্তাম্বুল পলিসি সেন্টারের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আহমেদ এভিন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সৌদি রাজপরিবারের ‌‘তত্ত্বাবধায়ক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, বিদেশে সৌদিরা ছাড়া ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা এতদিনে দেউলিয়া হয়ে যেত।

লন্ডনের ফরেন পলিসি সেন্টারের রিসার্চ ফেলো এমরি কালিসকান বলেন, ট্রাম্পের প্রশাসনে উভয় দেশই রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে; যার পেছনে ছিল ব্যক্তিগত সম্পর্কের স্বার্থ। ট্রাম্প চলে যাওয়ায় নীতি বদলের ক্ষেত্রে সুরও পাল্টাতে হবে।

আরব বসন্ত

২০১১ সালে আরব বসন্তের পর সৌদি-তুরস্ক সম্পর্কের অবনতির বিষয়টি সামনে আসে। তুরস্কের ইসলামপন্থী ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রতি সহানুভূতির আশায় আঙ্কারা মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন দেয়।

সৌদি আরব ও এর মিত্ররা মুসলিম ব্রাদারহুডের ঘোরতরবিরোধী এবং এই দলটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে এই দলটির অনেক সদস্য নিজ দেশে ফিরে এবং ইস্তাম্বুলে ঘাঁটি তৈরি করতে শুরু করে।

২০১২ সালে মিসরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোহাম্মদ মুরসির প্রতি সমর্থন দেয় তুরস্ক। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার মাত্র এক বছর পর মিসরের এই প্রেসিডেন্ট সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। আর এতেই তুরস্ক যে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থন দিচ্ছে সেটির বড় উদাহরণ হয়ে যায়।

মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির ক্ষমতায় আসেন সেনা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি; আর তাকে সমর্থন দেয় রিয়াদ। ২০১৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটে সৌদি আরব ও মিসরের সঙ্গে যোগ দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, সমর্থন ও আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ এনে এই চার দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে। তবে দোহা বরাবরই সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

ওই চার দেশ কাতারে অবস্থিত তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ, মুসলিম ব্রাদারহুড ও অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন এবং টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা বন্ধ-সহ অন্তত ১৩টি শর্ত বেধে দিয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিকের প্রস্তাব দেয়। কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর অবরোধের নিন্দা জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। শুধু তাই নয়, এই সঙ্কট মোকাবিলায় খাদ্য ও অন্যান্য নিত্য-প্রয়োজনীয় সামগ্রী কাতারে পাঠিয়ে দেয় তুরস্ক।

এরপরই সৌদি আরব, আমিরাত এবং মিসর তুরস্কের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি জনপ্রিয় তুর্কিশ সোপ ওপেরা এবং পণ্য-সামগ্রী অঘোষিতভাবে বয়কট করে। এই সঙ্কটের প্রভাব দেখা যায় সিরিয়ায়; যেখানে সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। অন্যদিকে, বাশারবিরোধী যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।

লিবিয়াতেও একই চিত্র দেখা যায়; যেখানে ত্রিপোলিভিত্তিক জাতীয় ঐক্যের সরকারের প্রতি সমর্থন জানায় তুরস্ক। বিপরীতে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী কমান্ডার খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন বাহিনীর প্রতি সমর্থন দেয়।

যুদ্ধের অবিরাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা

তুরস্কের আহি এভরান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ফ্যাকাল্টি মেম্বার আইয়ুপ এরসোয় বলেন, তবে কূটনৈতিক এই যুদ্ধ ধোপে টেকেনি। তিনি বলেন, আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে যুদ্ধের অবিরাম এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা অন্যদের বিরুদ্ধে কোনও দেশের জন্যই পরিষ্কার শ্রেষ্ঠত্ব বয়ে আনতে পারেনি। এর পরিবর্তে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মূল্য এখনও দিতে হচ্ছে।

ওয়াশিংটনের ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসির জ্যেষ্ঠ পরিচালক আয়কান এরদিমির বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের ফলে তুরস্কের সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাবে। তিনি বলেন, ১৯৮০ সাল থেকে সৌদি আরবের বিনিয়োগ তুরস্কের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিল। এর ফলে দেশটি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। কিন্তু রাজনীতি এই সম্পর্ক থামিয়ে দিয়েছে।

কাতারের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সম্পর্ক স্বাভাবিকে আঙ্কারার সঙ্গে রিয়াদের পুনর্মিলনের প্রতিবন্ধকতা দূর করছে।

এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের পর কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে সম্প্রতি ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকের কর্মসূচি আঞ্চলিক রাজনীতিতে তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাকে আরও হুমকিতে ফেলেছে।

এতকিছুর পর আঞ্চলিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্পর্কে এখনও বাধা দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। ইস্তাম্বুল পলিসি সেন্টারের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আহমেদ এভিনের যুক্তি, মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ‌‘আদর্শিক প্রতিশ্রুতি’ সৌদি-তুরস্কের সম্পর্কে বাধা তৈরি করতে পারে। তবে বাকিরের মতে, মুসলিম ব্রাদারহুড এখন আর আরব বিশ্বের জন্য হুমকি নয়। কাতারের বিরুদ্ধে নিজেদের কর্মকাণ্ডের সাফাই গাইতে সৌদি এবং আমিরাত মুসলিম ব্রাদারহুডকে ব্যবহার করেছে।

কালিসকান বলেছেন, এরদোয়ান এবং সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ব্যক্তিগত শত্রুতা পেছনে ফেলে সুসম্পর্ককে এগিয়ে নিতে হবে। আর এক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো- এরদোয়ান এবং বিন সালমানের ব্যক্তিগত সম্পর্ক; যা খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর এরদোয়ানের ব্যক্তিগত প্রতিশোধের বিষয় হিসেবে দাঁড়ায়।

আফ্রিকা, পূর্ব ভূমধ্যসাগর এবং অন্যান্য অঞ্চলে সৌদি আরব এবং তুরস্কের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্ক স্বাভাবিকের ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে। এসব অঞ্চলে তুরস্কের পদচিহ্নকে হুমকি হিসেবে দেখে রিয়াদ। 

উপসাগরীয় অঞ্চলে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটিসহ আঙ্কারা এবং দোহার কৌশলগত সম্পর্ক সৌদি আরবের জন্য অপ্রতিরোধ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হবে।

তুরস্কের আহি এভরান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ফ্যাকাল্টি মেম্বার আইয়ুপ এরসোয়

ইরান এবং তুরস্ক

ইরান-তুরস্ক কিছু কিছু ক্ষেত্রে একই অবস্থান বজায় রাখে। উভয় দেশই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখে পরস্পরকে সহযোগিতা এবং সিরিয়া যুদ্ধের সমাধানে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করছে; যা সৌদির জন্য আরেক সতর্ক সঙ্কেত।

অন্যদিকে, ইরানের ওপর চাপ কমাতে জো বাইডেনের প্রশাসন কোনও ধরনের পদক্ষেপ নিলে তেহরানের লাগাম টানতে তুরস্কের সহায়তা চাইতে পারে সৌদি আরব। এই অঞ্চলে সৌদি আরবের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দী ইরান।

কালিসকান বলেন, আগামী ছয় মাস তুরস্ক এবং সৌদি আরবের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অথবা কাতার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় হাজির হতে পারে। এটি বৃহৎ পরিসরের পারস্পরিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক কল্যাণ এবং আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয়ও করতে পারে। তবে তুরস্ক এবং সৌদি আরবের সম্পর্ক উন্নয়নের শেষ হিসেব-নিকেশই বলবে কোন পথে হাঁটবে এ দুই দেশ।

এসএস