ইমামের পরামর্শ শুনে অসুস্থ কন্যাকে হাসপতালে ভর্তি না করে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে আব্দুল সাত্তার(৫৫) নামে এক ব্যক্তি ও মোহাম্মদ ওয়াইজ নামের এক ইমামকে(৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে ভারতের সংবাদামাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দেশের সর্বদক্ষিণের রাজ্য কেরালার কান্নুর জেলায় ঘটেছে এই ঘটনা।

এ ঘটনায় করা মামলার বিবরণীতে জানা যায়, কয়েক দিন আগে ১১ বছর বয়সী ওই শিশুকন্যার জ্বর হয়। এই অবস্থায় কী করণীয়- সে সম্পর্কে পরামর্শ করতে ইমাম ওয়াইজের কাছে গিয়েছিলেন আব্দুল সাত্তার।  

ইমাম মোহাম্মদ ওয়াইজ সাত্তারকে পরামর্শ দেন- মেয়েকে যেন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি না করা হয়। পরামর্শের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ওই ইমাম বলেন- হাসপাতালে যে চিকিৎসা হয়, তা ইসলাম ধর্মের বিরোধী।

পাশাপাশি, আবদুল সাত্তারকে পানিপড়া দিয়ে ওয়াইজ পরামর্শ দেন, সাত্তার ও তার স্ত্রী যেন নিয়মিত কোরান পাঠ করেন ও আল্লাহর কাছে মেয়ের রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন।

কান্নুর জেলা পুলিশের প্রধান নির্বাহী ইলানগো আর এনডিটিভিকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের একজন সাক্ষী আছেন। তিনি অভিযুক্ত ইমামেরই আত্মীয়। ওই সাক্ষী আমাদের জানিয়েছেন- মেয়েটিকে যেন হাসপাতালে না নেওয়া হয়, সেজন্য আব্দুল সাত্তারকে প্রভাবিত করেছেন ওয়াইজ।’

‘এবং এটিই প্রথম ঘটনা নয়। তার আগেও এই পরিবারে এমন তিনটি মৃত্যু হয়েছে এবং এসব মৃত্যুর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে ওই ইমামের।’

কান্নুর পুলিশের প্রধান নির্বাহী আরও জানান, শিশুকন্যাটির মৃত্যুর পর তার চাচা, আব্দুল সাত্তারের ভাই প্রথম পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তিনি আরও জানান, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে তার পরিবারের আরও তিন সদস্য বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। তাদেরকেও হাসপাতালে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ওয়াইজুদ্দিন।

আব্দুল সাত্তার ও ইমাম ওয়াইজুদ্দিনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে হত্যা মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কান্নুর জেলা পুলিশ।

এসএমডব্লিউ