স্পেনের পালমা দে ম্যালোর্কা বিমানবন্দরের রানওয়েতে জরুরি অবতরণ করা একটি বিমান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া এক ডজন যাত্রীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। এছাড়া ওই বিমানের অন্য আরও ১২ যাত্রীকে খুঁজছে। শুক্রবার বিমানটির একজন যাত্রী অসুস্থ হওয়ায় সেখানে জরুরি অবতরণ করলে যাত্রীরা পালিয়ে যান। এই ঘটনার পর বিমানবন্দরটি কয়েক ঘণ্টা ধরে বন্ধ ছিল।

স্পেনের সিভিল গার্ড বলছে, কাসাব্ল্যাংকা থেকে ইস্তাম্বুলগামী এয়ার এরাবিয়া মারোকের একটি ফ্লাইটের একজন যাত্রী অসুস্থ হওয়ার পর পালমা দে ম্যালোর্কা বিমানবন্দরে সেটি জরুরি অবতরণ করে। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিমানটি রানওয়েতে অবতরণের পর দরজা খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২১ জন যাত্রীর একটি দল দৌঁড়ে পালিয়ে যান।

দেশটির আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র আইনা ক্যালভো স্পেনে এমন ঘটনা ‘নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন। পরে অসুস্থ যাত্রীসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অসুস্থ যাত্রীকে একজন সহযোগীসহ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, হাসপাতাল থেকে অসুস্থ যাত্রীর সহযোগী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও গ্রেফতার করা হয়। বিমানে মারমুখী আচরণ করায় অপর একজন যাত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। 

ক্যালভো বলেছেন, পালমা বিমানবন্দরে বিমানের জরুরি অবতরণের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। তবে যা স্বাভাবিক ছিল না তা হলো একদল যাত্রী আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

যাত্রীরা কেন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, এটি সাজানো পরিকল্পনা নাকি বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা পুলিশ সেসব জানার চেষ্টা করছে। তবে গ্রেফতারকৃতদের কেউ স্পেনে আশ্রয় দাবির চেষ্টা করেননি বলে জানিয়েছেন ক্যালভো।

তিনি বলেন, তারা এমন মানুষ যারা সমুদ্রপথে নয়, অবৈধ উপায়ে এসেছেন এবং তাই অন্তত... তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিই, এল পাইস-সহ বেশ কয়েকটি স্প্যানিশ মিডিয়া ওই ঘটনাটি স্পেনে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে এটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান আয়েনা ওই ঘটনার পর তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিমানবন্দর বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। এছাড়া সেখানে অবতরণের অপেক্ষায় থাকা বিভিন্ন ফ্লাইট বার্সেলোনা, ইবিজা এবং মেনোর্কাসহ অন্যান্য বিমানবন্দরে সরিয়ে দেওয়া হয়।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস