পাকিস্তানের শিক্ষা ও নারী অধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই বিয়ে করায় অবাক হয়েছেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মালালার বিয়ে নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বুধবার একাধিক পোস্ট করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা আসার মালিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার খবর দিয়েছেন মালালা। টুইটে তিনি বলেছেন, ‌‌‘আজকের দিনটি আমার জীবনের একটি মূল্যবান দিন। আসার এবং আমি সারাজীবনের জন্য গাঁটছড়া বেঁধেছি। বার্মিংহামের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছোট পরিসরে নিকাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জীবনের বাকি অংশ আমরা একসঙ্গে কাটাতে চাই। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

মালালার বিয়ের খবরে এক টুইটে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, পাকিস্তানি এক ছেলেকে মালালা বিয়ে করেছেন জেনে হতবাক হয়েছি। তার বয়স মাত্র ২৪ বছর। আমি মনে করেছিলাম, তিনি পড়াশোনা করতে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে গেছেন; অক্সফোর্ডে সুদর্শন প্রগতিশীল কোনও ইংরেজের প্রেমে পড়বেন তিনি। তারপরই বিয়ের কথা ভাববেন, ৩০ বছরের আগে বিয়ে করবেন না তিনি। কিন্তু...

আরেক টুইটে তসলিমা নাসরিন নারীবিদ্বেষী তালেবানেরও সমালোচনা করেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, মালালার বিয়েতে কিছূ নারীবিদ্বেষী তালেবান খুশি। কারণ তিনি একজন মুসলিম, একজন পাকিস্তানিকে খুব অল্প বয়সে বিয়ে করেছেন। 

যদিও শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের বিয়েতে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো থেকে শুরু করে চেলসি ক্লিনটন, বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও মালালাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

কাকে বিয়ে করলেন মালালা?

পাকিস্তানের ক্রীড়া জগতের পরিচিত মুখ আসার মালিক। তার লিঙ্কডইন প্রোফাইল অনুযায়ী, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হাই-পারফর্ম্যান্স টিমের মহা-ব্যবস্থাপক তিনি।

লাহার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স থেকে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক করেছেন মালিক। তিনি কোকা কোলা এবং ফ্রাইসল্যান্ডক্যাম্পিনার মতো ব্র্যান্ডের সাথেও কাজ করেছেন।

হলিউড লাইফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালালা এবং আসার তাদের সম্পর্কের বিষয়টি ইনস্টাগ্রামে গোপন করেছেন। তবে এই দম্পতি একে অপরকে চিনতেন ২০১৯ সাল থেকে।

২০১৯ সালের ২৩ জুনে ইনস্টাগ্রামে আসার মালিক একটি গ্রুপ ছবি পোস্ট করেন। এই ছবিতে মালালা, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনুস এবং অন্যান্যদের দেখা যায়। ছবিটি লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তুলেছিলেন আসার।

এসএস