সুবিধাজনক কর্মঘণ্টা, বেতনসহ ছুটি ও তিন বছরের চুক্তির সুযোগ রেখে নতুন শ্রম আইন পাস করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ খালিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এ সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর করায় সোমবার (১৫ নভেম্বর) থেকে তা আইনে পরিণত হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আমিরাতভিত্তিক দৈনিক খালিজ টাইমস। আগামী বছর ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে নতুন আইন।

নতুন আইন অনুযায়ী কোনো পদে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কমপক্ষে তিন বছরের জন্য চুক্তি করতে হবে এবং নূন্যতম ১৬ বছর বয়স হওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো পদে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ শর্ত পালনের বিধানও রাখা হয়েছে নতুন আইনে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএইর মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুলরহমান আল আওয়ার সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন প্রধানত দু’টি কারণে এই নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রথমত, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের ফলে বিশ্ব জুড়ে ‘কর্মস্থল’ ধারণার পরিবর্তন এসেছে। উন্নত প্রযুক্তির ফলে বর্তমানে বিশ্বের এক প্রান্তে বসেও অন্যপ্রান্তে অফিস করতে পারেন একজন কর্মী এবং দ্বিতীয় কারণ হলো করোনা মহামারি।

তাছাড়া, আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত আমিরাতের শ্রমবাজার ও উৎপাদনে যেন কোনো বিঘ্ন না আসে- সেদিকেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে আইন প্রণয়নের সময়।

সংবাদ সম্মেলন আওয়ার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি আকর্ষণীয় কর্মপরিবেশ তৈরি করা, যাতে বিশ্বের সেরা মেধাবী ও দক্ষ মানুষজন ইউএইতে কাজ করতে আগ্রহবোধ করে। পাশপাশি, আমরা দক্ষ কর্মী চাই এবং নতুন আইন আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।’

নতুন এই আইন আমিরাতের সর্বত্র যেন মানা হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ মন্ত্রণালয় আগামী বছর ফেব্রুয়ারির আগেই নেবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী।

এসএমডব্লিউ