দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশের বেশি মানুষকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পূর্ণ ডোজ দিয়েছে চীন। শনিবার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) কর্মকর্তা উ লিয়াংইউ এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত চীনের ৭৬ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকার পূর্ণ ডোজের আওতায় আনা হয়েছে।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এনএইচসির মুখপাত্র মি ফেং বলেছেন, দেশের মোট ১০৭ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ টিকার প্রয়োজনীয় ডোজ পেয়েছেন। এর পাশাপাশি দেশটির ৬৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন লিয়াংইউ।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে সর্বপ্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং এই ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে উহানে। এর কয়েক সপ্তাহ পর বিশ্বের এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। বিশ্বের সব মহাদেশে পৌঁছানো এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ কোটি ৬৯ লাখের বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন মোট ৫১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৮ জন। 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো গবেষণাগার থেকে নয়; বরং উহানের সি ফুড মার্কেট থেকেই ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী রোগ করোনার জন্য দায়ী সার্স গ্রুপের ভাইরাস সার্স-কোভ-২।

করোনার উৎস সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার বাস্তুসংস্থান ও জৈব বিবর্তন বিভাগের প্রধান মাইকেল ওরোবে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী সায়েন্সে ছাপা হয়েছে সেই গবেষণা প্রতিবেদন।

চীনে এখন পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে পাঁচটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার হার ৫০ থেকে ৭৯ শতাংশের মধ্যে। যা ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডার্নার টিকার কার্যকারিতার চেয়ে অনেক কম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক লাখ ১০ হাজার ৯২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৮৪৯ জন।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস