ভারতের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ স্মৃতি ইরানির সাম্প্রতিক ছবি দেখে চমকে গেছেন অনেকেই। মাত্র ৪৫ দিনের ব্যবধানে শরীরের বাড়তি ওজন ঝরিয়ে একদম ফিট লুকে ধরা দিয়েছেন তিনি।

তার এ তড়িৎ ট্রান্সফরমেশন দেখে অনেকেই জানতে চেয়েছেন ডায়েট রহস্য। অবশ্য তা জানাতে একদম পিছপা হননি স্মৃতি। জানা গেছে, টানা ৪৫ দিন তিনি কোনো গ্লুটেনযুক্ত ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করেননি। যা তার ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

কীভাবে দুগ্ধজাত খাবার এবং গ্লুটেন বাদ দেবেন?

যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য এই খাদ্যাভ্যাস যথেষ্ট জনপ্রিয়। এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসে যে কোনো খাবার যেখানে দুধ বা দুগ্ধজাত উপাদান থাকবে না। গ্লুটেনের ক্ষেত্রেও তাই। ময়দার যে কোনো পদ যাতে সহজেই একটি নির্দিষ্ট আকার পায়, তাতে সাহায্য করে গ্লুটেন। কিন্তু গ্লুটেনের কোনো রকম পুষ্টিগুণ নেই। বরং কারও কারও গ্লুটেন থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। সাধারণত যে খাবারগুলো থেকে আমাদের শরীরে নানা রকম অ্যালার্জি হয়ে হজমশক্তি কমে যায়, সেগুলো এই খাদ্যাভ্যাসে দূর করে দেওয়া যায়। তাই হজম ভাল হয়।

কিটো ডায়েট বা অন্য যে কোনো ‘ফাস্ট ডায়েট’র চেয়ে এই খাদ্যাভ্যাসে একটি পার্থক্য রয়েছে। এটি মূলত জীবনযাপনে বদল আনা। সাধারণ ঘরোয়া খাবার খেতেই পারেন, শুধু যাতে দুগ্ধজাত খাবার বা গ্লুটেন থাকবে না, সেগুলো এড়িয়ে যেতে হবে। শস্য, বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার বেশি রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।

কী করে ওজন কমবে?

দুগ্ধজাত খাবার এবং গ্লুটেন বাদ দিলেই যে আপনার অনেকটা ওজন কমে যাবে, তা নয়। কিন্তু এই খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে যে কোনো মানুষের হজমশক্তি অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই শরীরের যে কোনো খাবার তাড়াতাড়ি হজম করে ফেলা যায়। হরমোনের ক্ষরণ সঠিক মাত্রায় হয়। তাই শরীরও অনেক বেশি ঝরঝরে হয়।

সূত্র : আনন্দবাজার

এসকেডি