মেঘালয়ের বিধানসভায় কংগ্রেসের ১৭ বিধায়কের ১২ জনই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই ১২ জনের মধ্যে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটির জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতা ও মেঘালয়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাও রয়েছেন।

তবে এই ব্যাপারটিকে বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেসের হাইকমান্ড। তার পরিবর্তে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপিবিরোধী জোট করতেই বেশি আগ্রহী দলেটির শীর্ষ নেতৃত্ব।

বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেস মুখপাত্র মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘আমরা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে বিজেপিবিরোধী জোট করতে চাই। এ লক্ষ্যে ভারতের বিজেপি বিরোধী সব দলের সঙ্গে দ্রুতই যোগাযোগ শুরু করতে যাচ্ছি। পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনের মধ্যেই এ বিষয়ক কার্যক্রম আরম্ভ হবে।’

মেঘালয়ের ঘটনার পরও তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে কংগ্রেস ইচ্ছুক কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে খাড়গে বলেন, ‘আমাদের উভয়ের প্রতিপক্ষ এক (বিজেপি)। আপাতত আমরা সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।’

আগামী বছর ২০২২ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপিকে পরাস্ত করতে গত অক্টোবর থেকেই ভারতের বিজেপিবিরোধী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে কংগ্রেসের হাই কমান্ড। এই যোগাযোগের উদ্দেশ্য- বিজেপি বিরোধী নির্বাচনী জোট গঠন।

চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ভূমিধস জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকেই ভারতের বিজেপি বিরোধী দলগুলোর কাছে বেশ খানিকটা বেড়ে গেছে তৃণমূলের গুরুত্ব।

উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, তারা বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূলকেও দেখতে চান।

এসএমডব্লিউ