সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষের (মেটা) বিরুদ্ধে প্রায় ১৫ হাজার কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করেছে রোহিঙ্গারা। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে রোহিঙ্গাদের পক্ষের আইনজীবীরা মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে বহু সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানোর অনুমতি দিয়েছে ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রচার করেছে। এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে তারা ১৫ হাজার কোটি ডলার দাবি করছে।

বিবিসির প্রতিবেদন মতে, ২০১৭ সালে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে সামরিক দমন অভিযানের সময় আনুমানিক ১০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছিল। তখনকার বিভিন্ন ছবি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ফেসবুক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে উসকানিমূলক ভিডিও, সহিংসতা এবং অপপ্রচারের ভিডিও ও তথ্য সংবলিত পেইজগুলোকে ব্যবহারকারীদের দেখতে উৎসাহিত করেছে। এতে ঘৃণ্য অপপ্রচার আরও বেড়েছে এবং তা গণহত্যায় উসকানি হিসেবে কাজ করেছে।

এদিকে, সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে প্রথমে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও পরে তা কমিয়ে দুই বছর করেছে দেশটির একটি আদালত। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) জান্তাশাসিত দেশটির একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। সরকারের শীর্ষ পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাসের মাথায় তার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রথম কোনো রায়ে এই কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার দায়ে সু চিকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের আইনে এ ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে যথাক্রমে সর্বোচ্চ দুই ও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।

এমএইচএস