মহামারির ২ বছরে সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখল ইসরায়েল
ছবি: ডেজার্ট নিউজ
করোনার সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ইসরায়েলেও প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যেই মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে সেখানে।
বুধবার বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের দিন মঙ্গলবার ইসরায়েলে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৯৭৮ জন। মহামারির দুই বছরে একদিনে এত বেশি সংক্রমণ ঘটেনি মধ্যপ্রাচ্যের এই অঞ্চলে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ইসরায়েলে একদিনে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৩৪৪ জনের সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর এই পরিমাণ মানুষ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন প্রায় ৬০ হাজার। তাদের মধ্যে ১২৫ জন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বিজ্ঞাপন
২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৪ লাখ ২৩ হাজার ২৮৯ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৮ হাজার ২৪৭ জনের।
গত বছর থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ইসরায়েল। কর্মসূচির সাফল্যের বিচারে ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের এই ইহুদিশাসিত অঞ্চলটি।
ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যা ৯৪ লাখ। তাদের মধ্যে ৪৩ লাখই করোনার টিকার তিন ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনদের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া হচ্ছে সেখানে।
টিকাদান কর্মসূচীর সাফল্যের কারণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা সেই অনুপাতে বাড়বে না বলে আশা করছে ইসরায়েলের সরকার।
বুধবার রাজধানী জেরুজালেমের কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত। পরিদর্শন শেষে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমরা বর্তমানে একটি সংক্রমণের ঢেউয়ের মধ্যে আছি এবং পরবর্তী কয়েকদিনে দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
‘তবে ভালো খবর হলো, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে করোনা টিকা কার্যকর। এ কারণে ইসরায়েলে যারা টিকার নিয়েছেন, তারা যদি নিয়মিত মাস্ক পরেন, সেক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থতা এড়ানো সম্ভব হবে এবং অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তারা সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
এসএমডব্লিউ