সমুদ্রের তলদেশের আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের পর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টোঙ্গার বৃহত্তম দ্বীপ টোঙ্গাতাপুতে কয়েক দফায় সুনামি আঘাত হেনেছে। যার প্রভাব পড়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভিন্ন দেশের উপকূলীয় এলাকায়। ক্ষয়ক্ষতির খবর এলেও পাওয়া যায়নি সুর্নিদিষ্ট তথ্য।



গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সুনামির আঘাতের আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সক্রিয় থাকা দেশটির আগ্নেয় পর্বত হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ছাইয়ে ঢেকে গেছে পুরো দ্বীপ, বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া ইন্টারনেট সংযোগ চালু হতে সময় লাগতে পারে দুই সপ্তাহ।

এদিকে সমুদ্রের তলদেশে বিশাল অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির কারণে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার একটা ধারণা পেতে সেখানে প্লেন পাঠিয়েছে নিউজিল্যান্ড। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নিউজিল্যান্ডের পাশাপাশি প্লেন পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াও।

অন্যদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় 'জরুরি সাহায্য'র জন্য আহ্বান জানিয়েছে টোঙ্গা। দেশটিতে এখনও বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, আশপাশের কিছু কিছু দ্বীপ সমুদ্রের পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েক দশকের মধ্যে এটা এই আগ্নেয়গিরির সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাত। এই অগ্ন্যুৎপাতের কারণে জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। 

জেডএস