ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশি দেশ রাশিয়া। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে আত্মরক্ষার জন্য ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওয়ালেস বলেছেন, ইউক্রেনে স্বল্পপাল্লার অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল পাঠাবে তার দেশ।

এদিকে ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনা পাঠানোরও কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তার ভাষায়, প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনাদের ছোট একটি দল পাঠানো হবে।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে হামলা করতে পারে বলে যে গুঞ্জন রয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো যথেষ্ট বৈধ ও বাস্তব কারণ রয়েছে। রাশিয়া অবশ্য বারবারই ইউক্রেনে যেকোনো ধরনের হামলার পরিকল্পনা নাকচ করে দিয়ে এসেছে। মস্কোর দাবি, পশ্চিমা দেশগুলোই পূর্ব ইউরোপে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় রুশ হামলা ও ভূখণ্ডটি রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার পর ইউক্রেনের নৌবাহিনী পুনর্গঠনে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। এরপর ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে ২০১৫ সাল থেকে বহুসংখ্যক ব্রিটিশ সেনা দেশটিতে অবস্থান করছেন।

বিবিসি বলছে, যুক্তরাজ্য থেকে সমরাস্ত্রের প্রথম চালান সোমবার ইউক্রেনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও ঠিক কোন ধরনের সমরাস্ত্র পাঠানো হয়েছে, সেটি খোলসা করেননি ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

বেন ওয়ালেস জানান, ‘নিজের সীমান্ত রক্ষার সকল অধিকার ইউক্রেনের রয়েছে এবং নতুন এই অস্ত্র সহযোগিতার মাধ্যমে দেশটি সেই কাজ করতে সক্ষম হবে। স্বল্পপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র সহায়তা কেবলই প্রতিরক্ষামূলক কাজেই ব্যবহার করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনে কৌশলগত কোনো অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে না এবং সেই কারণে ব্রিটেনের পাঠানো অস্ত্র রাশিয়ার প্রতি কোনো ধরনের হুমকিও সৃষ্টি করছে না। আত্মরক্ষার স্বার্থেই এই অস্ত্র ব্যবহার করবে ইউক্রেন।’

টিএম