সামনে কেউ খুব জোরে কথা বললে নিশ্চিতভাবেই সবারই খুব বিরক্ত লাগে। কিন্তু জোরে কথা বলার জন্য কাউকে ১ কোটি টাকারও বেশি অর্থ পেতে শুনেছেন? অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই সত্যিই এমন এক ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর এক শিক্ষিকাকে ১ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। তবে এই ক্ষতিপূরণের পেছনে কারণ কি?

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘খুব জোরে’ বা উঁচু গলায় কথা বলার কারণে ওই শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এই বিষয়ে অভিযোগ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ লাখ পাউন্ড দেওয়া হয় তাকে।

ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর ওই শিক্ষিকার নাম ড. অ্যানেট প্লাউট। তিনি গত ২৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে পড়াচ্ছিলেন। কিন্তু উঁচু কণ্ঠস্বরের জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হঠাৎ বরখাস্ত করা হয়। তবে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তি দিয়েছিল, গবেষণা-স্তরের দু’জন ছাত্রের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

৫৯ বছর বয়সী অ্যানেট বলছেন, তিনি মধ্য-ইউরোপীয় ইহুদি হওয়ার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই তার কণ্ঠস্বর বেশ উঁচু। আর এই কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে তিনি দাবি করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, তাকে বরখাস্ত করার সঙ্গে তার জাতি, যোগ্যতা বা লিঙ্গের কোনো সম্পর্ক ছিল না।

বিতর্কিত এই বরখাস্তের পরে, অ্যানেট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে অসচেতন এব‌ং পক্ষপাতদুষ্ট বলে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, তিনি যখন নিউইয়র্ক ও জার্মানিতে থাকতেন এবং কাজ করতেন তখন তার উঁচু স্বরে কারও কোনো সমস্যা ছিল না।

এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। শুনানি শেষে অ্যানেটের পক্ষেই রায় দেন বিচারকরা। আর এরপরই পুনর্নিয়োগের পাশাপাশি অ্যানেট প্লাউটকে এক লাখ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

টিএম