করোনাভাইরাস মহামারি কোনও জায়গাতেই ফুরিয়ে যায়নি বলে বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। বিশ্বজুড়ে প্রাধান্য বিস্তারকারী নতুন শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে তুলনামূলক মৃদু এবং এই ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমে ভাইরাসের হুমকি নির্মূল হয়ে যাওয়ার ধারণার বিরুদ্ধে ওই সতর্কতা দিয়েছেন তিনি।

এমন এক সময় এই মহামারির বিষয়ে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, যখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণের দৈনিক নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার ফ্রান্সে প্রায় ৫ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জার্মানিতে একদিনে এক লাখের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন বলে বুধবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. টেড্রোস বলেছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাবে গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে নতুন করে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন।

তিনি বলেছেন, এই ভ্যারিয়েন্টটি কম গুরুতর কি না সে বিষয়ে এখনও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর মাঝেই এটিকে মৃদু রোগ বলে যে প্রচার করা হচ্ছে তা বিভ্রান্তিকর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান বলেন, কোনও ভুল করা চলবে না। ওমিক্রনের কারণে হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু এবং এমনকি কম গুরুতর অসুস্থতাও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে।

বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছেন, বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের অবিশ্বাস্য বাড়-বাড়ন্তের কারণে আরও নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্ম  হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাইরাস শনাক্তকরণ এবং মূল্যায়নের ব্যবস্থা এখনও দুর্বল রয়েছে।

টেড্রোস বলেন, অনেক দেশে এখনও টিকাদানের হার অত্যন্ত কম। এটা নিয়ে আমি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। টিকাহীন ব্যক্তিদের গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কয়েক গুণ বেশি। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি সেবাবিভাগের পরিচালক ডা. মাইক রায়ানও একই ধরনের সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওমিক্রনের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণশীলতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু বৃদ্ধি পেয়েছে; বিশেষ করে যেসব দেশে অল্প কিছু মানুষ টিকা নিয়েছেন, সেসব দেশে।

সূত্র: বিবিসি, এএফপি।

এসএস