ছবি: আলজাজিরা

২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশে কাতারে ৩ হাজার ২৫০ জন নিরাপত্তা কর্মী পাঠাবে তুরস্ক। এছাড়া বিশ্বকাপের আসরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যেন ত্রুটি না থাকে, সেজন্য কাতারের অর্ধশতাধিক নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণও দিয়েছে তুরস্কের সরকার।

মঙ্গলবার এক সরকারি সফরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আনতালিয়ায় গিয়েছিলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলেইমান সয়লু। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে আগামী নভেম্বরের বিশ্বকাপ আসরের জন্য। এই আসর যেন সুষ্টুভাবে সম্পন্ন হয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যেন ত্রুটি না থাকে- তা নিশ্চিতে মোট ৩ হাজার ২৫০ জন নিরাপত্তাকর্মী পাঠানো হবে কাতারে।’

সয়লু আরও বলেন, কাতারকে নিরাপত্তা সহায়তা দিতে যে নিরাপত্তাকর্মীদের পাঠাবে তুরস্কের সরকার, তাদের মধ্যে ৩ হাজার দাঙ্গা পুলিশ সদস্য, তুর্কি পুলিশের বিশেষ বাহিনীর ১০০ সদস্য, ৫০ জন বোমা বিশেষজ্ঞ, বোমা শনাক্তে সক্ষম ও বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ৫০ টি কুকুর ও তাদের পরিচালনার জন্য ৫০ জন অপারেটর আছেন।

ইতিহাসে এই প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ আসরের আয়োজন করছে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ। ২০২২ সালের নভেম্বরে কাতারে শুরু হবে এই আসর, চলবে ৪৫ দিন ধরে।

নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়া ছাড়াও বিশ্বকাপের আসর উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাতারের ৬৭৭ জন নিরাপত্তা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তুরস্কের সরকার বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছে বলে্ও মঙ্গলবার উল্লেখ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের ছোট দেশ কাতারের সঙ্গে আগে থেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল তুরস্কের। সেই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে ২০১৭ সালে, যে সময় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ কাতারের সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করল- তখন থেকে।

বাণিজ্যিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আন্তরিক সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব রয়েছে। গত ১০ বছর ধরে কাতারের সেনা সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তুরস্কের সরকার।

সূত্র: আলজাজিরা

এসএমডব্লিউ