করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক নারীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসার পর স্বেচ্ছা-আইসোলেশনে গেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। শনিবার নিউজিল্যান্ডের এই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে তার আইসোলেশনে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

করোনা সংক্রমিত ওই ব্যক্তি কেরিকেরি শহর থেকে একটি ফ্লাইটে করে নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম শহর অকল্যান্ডে এসেছিলেন। দেশটির গভর্নর জেনারেল সিন্ডি কিরো গত ২২ জানুয়ারির ওই ফ্লাইটে ছিলেন এবং তিনিও আইসোলেশনে গেছেন।

জেনারেল সিন্ডি কিরো এবং ওই নারী আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দিবসের চিত্রগ্রহণের জন্য দেশটির নর্থল্যান্ড অঞ্চলে ছিলেন। জেসিন্ডা আর্ডার্নের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‌প্রধানমন্ত্রী উপসর্গহীন আছেন এবং সুস্থ বোধ করছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী রোববার তার করোনা পরীক্ষা করা হবে এবং আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনি আইসোলেশনে থাকবেন।

দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা শনিবার এক ডজন ফ্লাইটকে ‌করোনা ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন। যে কারণে এক বা একাধিক ফ্লাইটের ক্রু করোনা সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

নিউজিল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, রোববারই জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হবে এবং আক্রান্ত নারীর শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মিলতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণ অথবা এই ভাইরাসের লাগাম টানতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৫০ লাখ মানুষের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মাত্র ৫২ জন। কিন্তু দেশটিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় আগামী কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আওয়ার ওয়ার্ল্ডের তথ্য অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডের প্রায় ৭৭ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১২ বছরের ঊর্ধ্বের জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে সেই হার ৯৩ শতাংশ বলে নিউজিল্যান্ডের সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে।

সূত্র: এপি।

এসএস