ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক মামলায় অব্যাহতির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। এজন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ ইরফান সেলিমকে আদালতে হাজির করেনি। তাই রাষ্ট্রপক্ষ থেকে শুনানি পেছানোর আবেদন করা হয়। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। 

গত ১০ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস এ প্রতিবেদনটি ‘দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করেন। এরপর বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠান। গত ৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন আদালতে এ প্রতিবেদন জমা দেন।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাজি সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

ওইদিনই দুপুরে র‌্যাব পুরান ঢাকার চকবাজারে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুই জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। পরের দিন (২৭ অক্টোবর) র‌্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।

টিএইচ/জেডএস